পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সাঁতরাগাছি স্টেশনে ফুট ওভারব্রিজ ভেঙে পড়ার পর শহরের সবক’টি ফুট ওভারব্রিজের ‘হেলথ অডিট’ বা স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন পুর কমিশনার খলিল আহমেদ। পুরকর্তারা জানিয়েছেন, ফুট ওভারব্রিজ দু’টির লোহার কাঠামোয় মরচে ধরেছে। সিঁড়ি এবং চলাচলের জায়গায় যত্রতত্র ফাটল রয়েছে। সেখানে পা রাখলে মড়মড় করে আওয়াজও হচ্ছে। পাশে থাকা রেলিংগুলিও মূল সংযোগস্থল থেকে ভেঙে আলাদা হয়ে গিয়েছে। আর্মেনিয়ান ঘাটে লেভেল ক্রসিংয়ের কাছে ফুট ওভারব্রিজটি এখন দখলদারদের কব্জায়। তারা যাবতীয় সাংসারিক সামগ্রী ডাঁই করে রেখে ওভারব্রিজের উপরে। স্বাভাবিকভাবেই যে কোনও সময় তা ভেঙে পড়লে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে, মনে করছেন পুরকর্তারা।
পুর প্রশাসনের কর্তাদের কথায়, ওই দুটি ব্রিজকে ভাঙার জন্য রাইটসের রিপোর্ট সহ পূর্ব রেলকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু পূর্ব রেলের তরফে কোনও সদুত্তর মেলেনি। সম্প্রতি মুখ্যসচিবের ঘরে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রসঙ্গটি ওঠে। তখন পুরসভা পূর্ব রেলকে ব্রিজ দু’টি ভেঙে ফেলতে বলে। এমনকী, এও বলে, তারা যদি না ভাঙে, তাহলে পুরসভা ভেঙে দেবে। যদিও মুখ্যসচিব বলেছিলেন, পূর্ব রেলের ‘এনওসি’ নিয়েই যেন ওই দু’টি ব্রিজ ভাঙা হয়। তবে এখনও সেই ‘এনওসি’ হাতে আসেনি বলে দাবি পুরকর্তাদের।
এই অবস্থার মধ্যেই দু’টি ফুট ওভারব্রিজকে ভাঙার কথা জানিয়ে দেড়-দু’মাস আগেই পূর্ব রেলের ডিআরএমকে চিঠি দেন সড়ক বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল সৌমিত্র ভট্টাচার্য। চিঠিতে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন, বিশেষজ্ঞ সংস্থা রাইটসকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ অভিযান করা হয়েছিল মল্লিকঘাট ফুলবাজার সংলগ্ন এবং আর্মেনিয়ান ঘাটের লেভেল ক্রসিংয়ের কাছে থাকা দু’টি ফুট ওভারব্রিজে। সেই স্বাস্থ্য অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই দুটি ফুট ওভারব্রিজ ভাঙা আবশ্যিক। কারণ, এগুলির অবস্থা এতটাই খারাপ যে, যখন তখন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। ফুট ওভারব্রিজগুলির বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরা পড়েছে। গত কয়েক মাসে তা বড় আকার নিয়েছে।
সড়ক বিভাগের এক শীর্ষকর্তার কথায়, ওই দু’টি ফুট ওভারব্রিজের নীচে দিয়ে সার্কুলার রেল চলাচল করে। তাতে যাত্রী সংখ্যাও খুব একটা কম থাকে না। রাইটস-এর বিশেষজ্ঞদের বলা হয়েছিল, ওই ফুট ওভারব্রিজগুলির স্বাস্থ্য-পরীক্ষার জন্য যৌথ অভিযান প্রয়োজন। সেইমতো রাইটস সম্মতি দিলে একের পর এক ফুট ওভারব্রিজের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা হয়। রাইটস-এর জেনারেল ম্যানেজার নিজে এই পর্যবেক্ষক দলে ছিলেন। পর্যবেক্ষণের পর রাইটস-এর বিশেষজ্ঞরা সুপারিশ করেন, এই দুটি ফুট ওভারব্রিজকে ভেঙে ফেলতে হবে।