দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
পোদ্দার কোর্টের উল্টোদিকে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের বিশাল মার্কেট। সেখানেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে দোকানিরা। চারদিকে দেওয়ালির আলোর পসরা সাজানো। রাস্তার ধারেও অনেকে এই সব আলো নিয়ে বসেছেন। এবার বেশ কিছু নতুন আলোর সন্ধান মিলল এই বাজারে। প্রকাশ আগরওয়াল নামে এক ব্যবসায়ী বললেন, এবারের নতুন চমক বল আলো। ১২টি পিস বল দিয়ে তৈরি আলোর মালা। এরমধ্যে ছ’টি বল বড় এবং ছ’টি ছোট। তার ভিতরেই লাইট রয়েছে। এই আলো ঝুলিয়ে রাখতে হয়। একটু অন্যরকম আলো বলতে স্টার, ক্রিসমাস আলোও বাজারে এসেছে। সাধারণ মানুষ একটু অন্য রকম পছন্দ করেন। তাই একটু নতুন ধরনের আলো এনে বিক্রি বাড়ানোর চেষ্টা করছি।
আরেক জায়গায় দেখা গেল ঝুমার এবং ইউএফও আলো সাজানো রয়েছে। ইউএফও বা আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লায়িং অবজেক্ট-এর ধাঁচে তৈরি এই বিশেষ আলো। সেটি হোল্ডারে লাগিয়ে ঝুলিয়ে দিলেই হবে। তার ভিতরে রয়েছে একাধিক আলো। সুইচ অন করলেই সেই আলো ঘুরতে থাকবে। আর নানা রঙের আলোয় ভরে উঠবে চারপাশ। দোকানের মালিক নবীনকুমার গুপ্তার কথায়, এবার এটাই একটু অভিনব আলো। আশা করি, মানুষের ভালো লাগবে। তাছাড়া ঝুমার আলোও এবার তৈরি করা হয়েছে। একঘেয়ে রাইস আলোর তুলনায় এসব মানুষকে আকৃষ্ট করবে। এর বাইরেও যে আলোয় বাজার ছেয়ে গিয়েছে, তা হল এই আঙুর লাইটস। ছোট-বড় সব ধরনেরই রয়েছে। দামও নাগালের মধ্যে। রিয়াজ শেখ নামে এক ব্যবসায়ীর কথায়, সাধারণ এলইডি কিংবা রাইস আলোর চেয়ে এই আলোগুলি আকারে একটু বড়। এর থেকে দুই-তিনটি রং হয়।
রকমারি আলো থাকলেও, বাজার নিয়ে বেশ হতাশ ব্যবসায়ীরা। উৎপল সাহা নামে এক ব্যবসায়ী বললেন, এবার বাজারের হাল খুব খারাপ। লক্ষ্মীপুজোর পর ভেবেছিলাম বাজার উঠবে। এমন অবস্থা আশা করিনি। অন্যান্যবার এই সময় ভালোই কেনাবেচা হয়। এবার কিছুই হচ্ছে না। রবি জয়সোয়াল নামে আরেক ব্যবসায়ীর আক্ষেপ, মানুষের হাতে কী আর টাকা নেই! দুর্গাপুজো আর কালীপুজো এক মাসে পড়ে যাওয়ায় মানুষ কেনাকাটা করতে পারছেন না। একই সুর শোনা গেল রাস্তার ধারে বসা বিক্রেতাদের গলাতেও। আলোর স্টক এবার প্রচুর। কিন্তু কেনার লোকজন কই? সবাই এসে দেখে চলে যাচ্ছেন। আশা করছি, সামনের সপ্তাহ থেকে বিক্রিবাটা বাড়বে।