দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
সামনেই ধনতেরস। তার আগে বাজারে সোনার চাহিদা বেড়েছে। যে কারণে চলতি মাসে চোরাপথে সোনা আমদানিও বেড়ে গিয়েছে। এর বেশিরভাগটাই আসছে কলকাতায়। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া আসা সোনা আটকাতে মরিয়া বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মঙ্গলবারই ফুলবাগান এলাকা থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ সোনা। পাশাপাশি ডিআরআই আরও চোরাই সোনার খোঁজে তথ্য সংগ্রহ চালাচ্ছিল। তাদের কাছে খবর ছিল, আইজল থেকে সোনা নিয়ে আসছে চারজন। যার মধ্যে একজন মহিলা। দুটি বাসে তারা উঠেছে। একটি বাস আসছে শিলং থেকে, অন্যটি অসম থেকে। তারা শিলিগুড়িতে নামবে। জোগাড় করা হয় বাস দুটির নম্বর। উত্তরবঙ্গে পৌঁছনো মাত্রই দুটি বাসেই তল্লাশি চালানো হয়। সেখানে থেকে চারজনকে আটক করা হয়। সঙ্গে থাকা ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে মেলেনি কিছুই। সন্দেহ হওয়ায় তাদের জুতো পরীক্ষা করা হয়। তখন দেখা যায়, তার মধ্যে বিশেষ খাপ তৈরি করে সোনা লুকনো রয়েছে। তাদের কাছ থেকে মেলে ৩৮টি সোনার বিস্কুট ও একটি সোনার বার। সব মিলিয়ে উদ্ধার হয় ৭.৩০৮ কেজি সোনা। পাওয়া গিয়েছে মায়ানমারের
নোটও।
তাদের জেরা করে জানা যায়, আরও দুই মহিলা কলকাতায় আসছে। তারা অন্য বাসে রয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে বাসের নম্বর জোগাড় করা হয়। ডিআরআইয়ের অফিসাররা ওই বাসটি কোনও সংস্থার, তার তথ্য নেন। এরপর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, বাসটি রানাঘাটে রয়েছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতায় ঢুকে যাবে। অভিযুক্ত মহিলাদের বাসের টিকিট নম্বর আগেই হাতে চলে আসে অফিসারদের। সেইমতো রানাঘাটে ওই বাসে হানা দেয় ডিআরআইয়ের টিম। দুই মহিলাকে তাদের সিট থেকে আটক করা হয়। প্রথমে তারা অস্বীকার করলেও দীর্ঘ জেরায় ভেঙে পড়ে জানায়, সোনা রয়েছে তাদের কাছে। ব্যাগের মধ্যে বিশেষ খাপ তৈরি করে তা রাখা হয়েছে। ওই ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে ২০টি সোনার বিস্কুট মেলে।
তদন্তে জানা গিয়েছে, মায়ানমার থেকে এই সোনা এসেছিল আইজলে। সেখানকার এক নাগরিক এগুলি তুলে দেয় ধৃতদের হাতে। তার সঙ্গে আন্তর্জাতিক চোরাকারবারিদের যোগাযোগ রয়েছে। ধৃতরা একাধিকবার মায়ানমার থেকে চোরাই সোনা নিয়ে এসেছে। কলকাতায় এক ব্যবসায়ীর কাছে চোরাই সোনা আসার কথা ছিল। তার খোঁজ চলছে।