বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুজোর আগে থেকেই টালা ব্রিজে বাস বন্ধে চিন্তা বেড়েছিল। পুজোর ছুটি শুরু হলেও ব্রিজ সংলগ্ন বড় বড় পুজোগুলিতে ভিড়ের চাপ মোকাবিলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। কিন্তু সেই চাপও সামলে নিয়েছিলেন ট্রাফিক গার্ডের পুলিসকর্মীরা। লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত ছুটির কারণে রাস্তায় চাপ কম ছিল। ফলে বিকল্প রাস্তা দিয়ে মোটামুটি মসৃণ ভাবেই যান চলাচল করেছিল। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হয় লক্ষ্মীপুজোর পরের দিন অর্থাৎ গত সোমবার। ওই দিন অফিসের ব্যস্ত সময় চিড়িয়ামোড় থেকে পাইকপাড়া মোড় পর্যন্ত ব্যাপক যানজট হয়। পুলিস জানিয়েছে, টালা সেতুর বর্তমান যা অবস্থা, তাতে বিপুল সংখ্যক ছোট গাড়ির সেতু পেরনোও বিপজ্জনক। তাই গাড়ির চাপ কমাতে পাইকপাড়া মোড়ে বি টি রোডের শ্যামবাজার অভিমুখের সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করে ছোট গাড়ির চাপও কম রাখা শুরু করেছে পুলিস। এদিন সকালে উত্তর শহরতলির দিক থেকে শ্যামবাজারমুখী রাস্তার উপর গাড়ির চাপ ভয়াবহ আকার নেয়। ছোট ছোট গাড়ির সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে যাওয়ায় বি টি রোডে যানজট সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিসকে। গাড়িচালক ও বাসত্রীদের কথায়, যদি আর জি কর হাসপাতাল লাগায়ো ব্রিজেও যান নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে পুলিস, তাহলে কলকাতার দিকে যাতায়াতই বন্ধ করে দিতে হবে।
চিৎপুর লকগেট উড়ালপুল দিয়ে যান নিয়ন্ত্রণে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেখানে খুব একটা গাড়ির চাপ না থাকলেও প্রায় সব ছোট গাড়ি টালা ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। ১ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তরুণ সাহা বলেন, আর জি কর সেতু সংলগ্ন রোড এবং সকালে টালা ব্রিজের উপরে যানজট হয়েছে। এদিন গত ক’দিনের তুলনায় বাসের সংখ্যা বেড়েছে। তাই সমস্যা হয়েছে। পুলিস যদিও যান নিয়ন্ত্রণের মধ্যে দিয়ে রাস্তা মসৃণ রাখার চেষ্টা করেছে।
ট্রাফিক পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকে ওই তিনটি রাস্তাতেই চাপ বাড়তে থাকে ছোট গাড়ির। ফলে বেলা ১০টার পর থেকেই দমদম রোড এতটাই মন্থর হয়ে যায় যে, ওই রাস্তাতে নির্দিষ্ট গাড়িগুলিকে পাইকপাড়া দিয়ে ঘোরাতে হয়। সেখানেও বাড়তি চাপ পড়ায় শ্লথ হয়ে যায় গাড়ির গতি। সেই সঙ্গে পাইকপাড়া থেকে যানজট চিড়িয়ামোড় ছাড়িয়ে পৌঁছে যায় শীলস গার্ডেন পর্যন্ত। এর মধ্যেই টালা সেতুতে ছোট গাড়ির চাপ কমাতে বাঁশের ব্যারিকেড করে দেওয়া হয় রাস্তার পরিসর কমাতে। কিন্তু তাও বেলার দিকে ভেঙে পড়ে। পরে এলাকার লোকজন এসে সেগুলিকে সরিয়ে দেয়।