বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
চন্দননগরের পুলিস কমিশনার হুমায়ুন কবীর বলেন, জগদ্ধাত্রী পুজো নির্বিঘ্নে মেটাতে সবাইকে নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আমরা একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা তৈরি করেছি। পুজোকে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের নজরদারি থাকবে। কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শুভজিৎ সাউ বলেন, আমাদের রাজ্য সরকার পুজো বান্ধব সরকার। ফলে বৈঠকে গঠনমূলক আলোচনার মধ্যে দিয়ে সমস্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুজো থেকে বিসর্জন পর্যন্ত নিরাপত্তার প্রয়োজনে সিসি ক্যামেরার নজরদারি থাকবে। বিসর্জনের ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রার গাড়ি সাজাতে গিয়ে যানজটের একটি প্রশ্ন উঠেছিল। আমরা সে বিষয়ে পুলিস প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যে যেমন বলেছি তেমনি সহযোগিতা করার কথাও জানিয়েছি।
চন্দননগর পুরসভার প্রশাসক তথা পুরকমিশনার স্বপনকুমার কুণ্ডু বলেন, বিসর্জনের ঘাটে নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঘাট সংস্কার থেকে সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে বিসর্জন করানো হবে। শহর পরিচ্ছন্ন রাখা, ঘাট থেকে কাঠামো দ্রুত তুলে ফেলার জন্যে বিশেষ পরিকল্পনা করা হয়েছে। পুজোর ফুল, বেলপাতা সংগ্রহের জন্যে আমরা স্থায়ী কাঠামো করে দিচ্ছি। অতিরিক্ত কর্মী আমরা বাইরে থেকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি।
জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন নিয়ে মঙ্গলবার চন্দননগর পুলিস কমিশনারেটের তরফে রবীন্দ্রভবনে প্রস্তুতি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে কেন্দ্রীয় কমিটি, পুরসভা, দমকল, বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি, আরপিএফ, জিআরপি সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ছিলেন। সেখানেই পুজোর চারদিনের নিরাপত্তার উপরে বিশেষভাবে জোর দিয়ে আলোচনা হয়। তাতেই অধিকাংশ পুজো মণ্ডপকে সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে রাখার পরিকল্পনায় সিলমোহর দেওয়া হয়। একইভাবে বিসর্জনের ঘাটে নিরাপত্তার কারণে সিসি ক্যামেরা দিয়ে নজরদারির সিদ্ধান্তও হয়েছে। শোভাযাত্রার সময় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হওয়ার কথা মাথায় রেখে একাধিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শোভাযাত্রার গাড়িগুলির চালকের সামনের কাচ যাতে আলোকসজ্জার কারণে ঢাকা না পড়ে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।