পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে কাশীপুর থানার একেবারে কাছে একটি ইলেকট্রনিক্স (টিভি, ফ্রিজ) শোরুমে হানা দেয় কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো (ডব্লুসিসিবি) এবং রাজ্য বনদপ্তরের ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিটের (ডব্লুসিসিইউ) যৌথ দল। বনদপ্তর সূত্রের খবর, তাদের কাছে খবর ছিল ওই দোকানে বেআইনি কচ্ছপ রাখা রয়েছে। সেই মতো মঙ্গলবার দোকানে হানা দিয়ে স্টার প্রজাতির দু’টি কচ্ছপকে উদ্ধার করা হয়।
ডব্লুসিসিবির আঞ্চলিক অধিকর্তা অগ্নি মিত্র বলেন, দোকান থেকে কচ্ছপ উদ্ধার হওয়ার পর দোকানের মালিককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যেহেতু স্টার প্রজাতির কচ্ছপ সিডিউল-৪’এর অন্তর্ভুক্ত, তাই দোকানদারের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। আইন অনুযায়ী ২৫ হাজার টাকার জরিমানা দিয়ে তিনি কচ্ছপকে নিজের হেফাজতে রাখার জন্য ভুল স্বীকার করে নেন। তাই কচ্ছপগুলিকে বাজেয়াপ্ত করে রাজ্য বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বনদপ্তর সূত্রের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে ওই দোকানদার দাবি করেন, তাঁর পরিচিত এক জ্যোতিষী পরামর্শ দিয়েছিলেন ব্যবসা বাড়াতে শোরুমে ফেংশুই কচ্ছপ রাখতে হবে। সেই মতো বছরখানেক আগে বাগবাজারের এক যুবকের থেকে ওই কচ্ছপ দু’টি কিনেছিলেন। কিন্তু, সেটা যাতে বাইরের কেউ দেখতে না পারে সেই পরামর্শও দিয়েছিলেন ওই জ্যোতিষী। তিনি আরও বলেছিলেন, কচ্ছপগুলিকে দোকানের প্রবেশপথের আশপাশে রাখতে হবে, তবেই আয় বৃদ্ধি হবে। সেই মতো মালিকও দোকানের দরজার একেবারে কাছেই কচ্ছপগুলি রেখেছিলেন।
সেটিকে দোকানের দরজার ডানদিকে একটি অ্যাকুরিয়ামে রাখা হয়েছিল। তবে সেগুলি যাতে বাইরে থেকে দেখা না যায়, তাই সেই অ্যাকুরিয়ামটি কাঠের বাক্স দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল, যাতে না কেউ দেখতে পায়। একই সঙ্গে তাদের খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ নজর রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তাই শাক-সব্জি-ফল সবই টুকরো টুকরো করে নিয়মিত কচ্ছপদের খাওয়ানো হত বলে দোকানদার বনদপ্তরকে জানিয়েছেন। বনদপ্তরের এক কর্তা বলেন, কচ্ছপগুলি সুস্থ থাকলেও সেগুলি এভাবে পোষা বেআইনি, তাই সেগুলিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি সেই কাজ যিনি করেছেন, তাঁকে জরিমানাও করা হয়।