পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সোমবার পরিবহণ দপ্তরে বৈঠকের পর বাস মালিকদের নয়া সংগঠনের কর্তারা দাবি করেছিলেন, তাঁদের আর্জি মেনে নিয়েছেন প্রশাসনের কর্তা-আধিকারিকরা। মালিকপক্ষের দাবিমতো পরিবর্তিত রুট মেনে নেওয়া হলে মঙ্গলবার থেকে বাসের সংখ্যা বাড়বে বলে আশ্বস্ত করেছিলেন তাঁরা। সেইমতো এদিন দুপুরে পরিবহণ দপ্তরের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি ২৭টি বাসরুটের পরিবর্তিত নয়া রুট ঘোষণা করা হয়েছে। এই বাসরুট গুলির মধ্যে রয়েছে, ২০১, ২০২, ২১৪, ২২২, ২৩০, ২১৪এ, ৩২এ, ৩৪বি, ৩৪সি, ৭৮, ৭৮/১, এস-১৬৮, এস-১৬১। তবে রুট পরিবর্তন করা হয়নি ২৩৪, ৩০এ, ৩০বি, ৩২বি, ৪৩/১, কে-থ্রি, কে-ফোর, কে-নাইন, এস-১৫৮, এস-১৫৯, এস-১৬৪, এস-১৮০, এস-১৮১। এস-১৮৫ রুটের বাসের পরিবর্তিত রুটের প্রস্তাব জমা পড়লেও তা এখনও অনুমোদন হয়নি। এছাড়াও স্টেট ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (এসটিএ)-র অনুমোদিত বারাকপুর-হাওড়া রুট, বারাকপুর-মধ্যমগ্রাম, ডানকুনি-কামালগাজি রুট এবং ডানকুনি-হাড়োয়া রুটে বাসগুলিকে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, বৈদ্যবাটি-কলকাতা স্টেশন রুটের বাসকে কলকাতা স্টেশনের বদলে সিঁথি সার্কাস ময়দানে অন্তিম স্টপেজ করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
পরিবর্তিত রুট বিন্যাসের ক্ষেত্রে সরকারি বাসরুট নিয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসি ২০, এস৯এ, এনএস-২, এনএস-৯ রুটের বাসগুলি সেভেন ট্যাঙ্ক-নর্দার্ন অ্যাভিনিউয়ের বদলে পাইকপাড়া, দত্তবাগান, বেলগাছিয়া দিয়ে চলবে। এস-১০ রুটের বাস নাগেরবাজার-যশোর রোডের বদলে দমদম স্টেশন, সেভেন ট্যাঙ্ক, নর্দার্ন অ্যাভিনিউ দিয়ে চলাচল করবে। সি-৫১ রুটের বাসটি নৈহাটির দিক থেকে চিড়িয়া মোড়, সেভেন ট্যাঙ্ক হয়ে নর্দার্ন অ্যাভিনিউয়ের দিকে যাবে। এসি-৩৪ রুটের বাসটি আপাতত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি, আগামী এক সপ্তাহ পরিস্থিতি দেখে এসি-২০ রুটের বাসকে ডানলপ, ডানকুনি, সলপ, কোনা এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে সাঁতরাগাছির দিকে নিয়ে যাওয়ার ভাবনাচিন্তা করা হবে বলে প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন। যদিও এরপরেও একাধিক রুট রয়েছে। সেগুলির পরিবর্তিত বিন্যাস সম্পর্কিত ঘোষণা পরে করা হবে বলে পরিবহণ দপ্তর জানিয়েছে। নর্থ কলকাতা বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বোস বলেন, যে বিজ্ঞপ্তি পরিবহণ দপ্তর প্রকাশ করেছে, তাতে নোটিফিকেশন নম্বর পড়েনি। বুধবার সরকারি অফিস খুললে নোটিফিকেশন নম্বর পড়বে। যে কারণে মঙ্গলবার নয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বাস চলাচলে সামান্য সমস্যা হয়েছে শ্যামবাজার ট্রাফিক গার্ডে। আমি কলকাতা ট্রাফিক পুলিসের ডিসি’র সঙ্গে কথা বলেছি। ওঁরা ট্রাফিক গার্ডে বলে দিয়েছেন। বুধবার সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
ট্রাফিক পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসের সংখ্যা এদিন কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সোমবার যেভাবে মানুষের দুর্ভোগ চোখে পড়েছিল, এদিন তা অনেকটাই কমেছে। কিন্তু দুর্ভোগ যে একেবারেই কমে গিয়েছে, তা মানতে নারাজ নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের কথায়, সংশ্লিষ্ট রাস্তা দিয়ে বাসের সংখ্যা না বাড়ানো হলে বা সবক’টি বাস রাস্তায় না নামলে নিত্যদিন বাদুড়ঝোলা অবস্থাতেই যেতে হবে।