গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে পা দেওয়া চন্দননগরের হেলাপুকুর সর্বজনীনের বড় আকর্ষণ এবার সোনার ছোঁয়া। উদ্যোক্তারা জগদ্ধাত্রী প্রতিমাকে সোনার নানা ধরনের গয়নায় সাজিয়ে হাজির করতে চাইছেন। ঠিক কত কেজি সোনা ব্যবহার করা হবে তা গোপন রাখলেই মায়ের আপাদমস্তক সোনার বিভায় উজ্জ্বল থাকবে এমনটাই ক্লাবকর্তাদের দাবি। দেবী জগদ্ধাত্রীর প্রতিমা এখানে আনা হচ্ছে কুমোরটুলি থেকে। সনাতনী ধাঁচের প্রতিমা যে মণ্ডপে বিরাজ করবে সেখানে অবশ্য নামজাদা মণ্ডপশিল্পীকে দিয়ে থিম বানানো হচ্ছে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, মাতৃশক্তিকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকাশ করাই তাদের থিমের মূল ভাবনা। স্বর্ণোজ্জ্বল বর্ষের পুজো বলে আড়ম্বরে খামতি থাকছে না কোথাও। তাই উদ্বোধনের জন্যে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীশ ধনকার। আরও এক তারকা দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও উদ্বোধনী মঞ্চে থাকবেন। পুজো কমিটির সম্পাদক সুমিত সরকার বলেন, আমাদের পুজো নিয়ে বরাবরই মানুষের আগ্রহ থাকে। সেই সঙ্গে এবার স্বর্ণোজ্জ্বল বর্ষের পুজো বলে আমরা বিশেষ আয়োজন করছি। ২০ অক্টোবর আমাদের চোখ ধাঁধানো প্রভাতফেরি করাই এই মুহূর্তের প্রধান লক্ষ্য।
চন্দননগরের বোড় তালডাঙা সর্বজনীনের ঐতিহ্যবাহী পুজোও এবার ৫০ বছরে পা দিয়েছে। সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের পুজোতে মায়ের মণ্ডপসজ্জায় নজর কাড়তে নানান পরিকল্পনা করেছেন উদ্যোক্তারা। এই সর্বজনীনের এবারের থিম ‘অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো’। উদ্যোক্তাদের সূত্রে জানা গিয়েছেন, দেবীর আবির্ভাব এক ধরনের আলোকময় উপস্থিতি, এটি শুভ প্রতীক। নানান রকম অন্ধকার বা অশুভ থেকে শুভর প্রকাশ সরণীতে আসার বার্তাকেই বর্ণময় ঢঙে প্রকাশ করা হবে। আর তার জন্যে ব্যবহার করা হচ্ছে নানা ধরনের বাঁশ। মূলত খোদাই বাঁশ ও লোহার ব্যবহারে মণ্ডপসজ্জার মঞ্চে থাকবেন সুসজ্জিত দেবী জগদ্ধাত্রী। উদ্যোক্তা তথা অন্যতম পুজো সম্পাদক সোমনাথ চন্দ বলেন, ৩১ অক্টোবর আমরা পুজোর উদ্বোধন করে দেব। বলাই বাহুল্য সুবর্ণজয়ন্তীতে ইতিহাস গড়তে ব্যস্ততা তুঙ্গে ইতিহাস হয়ে যাওয়া ফরাসডাঙার অলিগলি।