পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিসের কাছে অভিযোগ অনুযায়ী, এদিন ভোর সওয়া পাঁচটা নাগাদ পাড়ারই এক মহিলা শ্রিপ্রার বাড়ি থেকে ধোঁয়া দেখতে পান। তিনি চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে পড়শি এবং শিপ্রার পরিজনরা এসে দেখেন, ওই গৃহবধূর ঘরের ভিতর থেকে দরজা এবং জানালা বন্ধ। তাঁরা বারবার শিপ্রাকে ডাকলেও কোনও সাড়াশব্দ পাননি। তাঁরা ধাক্কা দিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখেন, আগুন জ্বলতে থাকা অবস্থায় শিপ্রা মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। পড়শি এবং শিপ্রার পরিজনরা কোনওরকমে আগুন নিভিয়ে তাঁকে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিস তদন্তের পর জানিয়েছে, মৃতার পরিজনরা অভিযোগে বলেছেন, গত ২০০৩ সালে সম্বন্ধ করে সোদপুরের ব্রিকফিল্ড রোডস্থিত মোল্লাপাড়ার বাসিন্দা মিলন দলুইয়ের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের এক মাসের মধ্যেই শ্রিপ্রা বাপের বাড়িতে ফেরত আসেন। অভিযোগ, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে শ্রিপ্রাকে নানাভাবে অপদস্থ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই তিনি বাপের বাড়ির জায়গাতেই একটি ঘর তৈরি করে স্বামীর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন।
কিন্তু কিন্তু পুজোর আগে থেকে ফের মিলন দলুই নিজের বাড়িতে ফিরে যায়। ওই গৃহবধূ বাধা দিলে মিলন তাঁর উপর মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এখানেই শেষ নয়। অভিযোগ, স্ত্রীর নামে কেনা জমি জোর করে নিজের নামে লিখিয়ে নেয় মিলন। সই করিয়ে নিয়েছিল বিবাহ বিচ্ছেদের কাগজও। তবে তার মধ্যেই কারণ-অকারণে বিভিন্নজনের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা ধার নিতে শুরু করে মিলন। কিন্তু তা ঠিকসময়ে শোধ করতে না পেরে বাজারে দেনা বেড়ে গিয়েছিল তার। পাওনাদাররা শিপ্রার বাপের বাড়িতে এসে তাগাদা দিতে শুরু করে। মিলনের অত্যাচারে বাধ্য বয়ে শিপ্রা আয়ার কাজ নেন। কিন্তু সেই উপার্জিত টাকা দিয়েও তিনি ধার শোধ করতে পারছিলেন না। পুলিস তদন্তে জানিয়েছে, মিলন তার নিজের বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করে। সোমবার রাতে স্বামীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরত আনার জন্য গিয়েছিলেন শিপ্রা। বারবার ডেকেও কেউ দরজা না খোলায় ওই গৃহবধূ নিজের বাড়ি ফিরে আসেন এবং মঙ্গলবার ভোরে গায়ে আগুন দেন। শিপ্রার ভাই থানায় তাঁর জামাইবাবু সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।