পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
টালা ব্রিজ বন্ধ হওয়ায় রুট পরিবর্তন করা হয়েছে সরকারি বাস এসি ২০, এসি৫৪, এসি৩৪, ই ৩২, এস৩২, এস নাইন এ, এস ৩২ এ, এস ৫৭, এনএস ২, এনএস ৯, সি ২৮ , সি ৪৫, সি ৫১। সরকারি বাস বন্ধ করা হয়েছে এসি ১৭বি, ১১এ, এস ৫৮। বেসরকারি বাসের রুট পরিবর্তিত হয়েছে ৩৪বি, ৩৪সি, ৪৩/১, ৭৮, ৭৮ ১, ২০১, ২৩০, ২২২, ২৩৪, ৩২ এ সহ একাধিক রুট। ৩৪সি রুটের ২০টি বাস গত ১১ অক্টোবর থেকে বন্ধ।
রুট পরিবর্তনের কারণে বাসগুলি ঘুরপথে চলছে। এতে এক ঘণ্টায় যেখানে গন্তব্যস্থলে যেখানে পৌঁছানো যেত, এখন তা যেতে সময় লাগছে সাড়ে তিন ঘণ্টা। অফিস যাত্রীরা আড়াই ঘণ্টা সময় হাতে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন। রাস্তায় বেরিয়ে যাত্রীরা হয়রানির শিকারও হচ্ছেন। কোন বাস কোথায় যাবে, তা ভেবে উঠতে পারছেন না। কনডাক্টরকে জিজ্ঞেস না করে বাসে উঠছেন না। টালা ব্রিজ বন্ধ হওয়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বরানগর, কামারহাটি, বেলঘরিয়া, নিমতা, আড়িয়াদহ, পানিহাটি, সোদপুর, খড়দহ, বারাকপুরের বাসিন্দারা।
৩৪সি বাস কর্মচারী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কমলেশ দুবে বলেন, নতুন রুটে যাত্রী মিলছে না। তেলের খরচও বেশি। বাস চালাতে গিয়ে ক্ষতি হওয়ায় বন্ধ করা হয়েছে। তবে একটি বৈঠক রয়েছে আমাদের। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বাস চলবে কিনা। ২০১ বেলঘরিয়া- উল্টোডাঙা-হাডকো-করুণাময়ী হয়ে সেক্টর ফাইভে যেত। নতুন রুট বেলঘরিয়া-চিড়িয়া মোড়- নাগেরবাজার-লেকটাউন- হাডকো। এই রুটে নামমাত্র কয়েকটি বাস চলছে।
প্রতিদিন যানজটেও নাকাল হচ্ছেন যাত্রীরা। টালা ব্রিজের প্রভাবে প্রত্যহ যানজট ডানলপ, বনহুগলি, সিঁথির মোড়ে। নিত্যযাত্রীরা বলেন, যানজটের কারণে প্রতিদিনই অফিস দেরিতে ঢুকছি। একইভাবে অফিস থেকে ফেরার পথেও যানজটে দীর্ঘক্ষণ আটকে পড়ছি। ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যাচ্ছে। এখনও স্কুল, কলেজ, আদালত খোলেনি। স্কুল কলেজ খুললে আরও যানজট বাড়বে। এবং দুর্ভোগ বাড়বে। রাস্তায় বেরিয়ে বাস মিলছে না। অটো বা ট্রেনে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অফিসে সঠিক সময়ে পৌঁছানোর জন্য গাড়ি ভাড়া করতে হচ্ছে। এতে খরচ বাড়ছে যাতায়াতের। এই দুর্ভোগের শেষ হবে কবে, তা বলতে পারছে না প্রশাসনও। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিবহণ দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, রুট পরিবর্তনের কারণে যাত্রীদের কোথাও কোথাও সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।