পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সিপি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দুর্গাপুজো ছিল তাঁর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সসম্মানে তিনি তাতে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসাও কুড়িয়েছেন। এবার কালীপুজোর রাতে নিষিদ্ধ শব্দবাজির দাপট আটকাতে বদ্ধপরিকর তিনি। কালীপুজো ও দেওয়ালির রাতে ‘দুমদাম’ বাজির শব্দ শুনতে অভ্যস্ত শহরবাসী। রাত বাড়লে এর দাপট আরও বাড়তে থাকে। বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলে না বলে অভিযোগকারীরা দাবি করেন। শহরবাসীর এই অভিজ্ঞতার কথা ভালো করেই জানেন কলকাতার নগরপাল। রাশ আলগা হলে পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে যেতে পারে, তা আঁচ করে প্রথম থেকেই সতর্ক তিনি। সেই কারণে নিষিদ্ধ শব্দবাজি ঢোকা আটকানোর উপর তিনি জোর দিতে চাইছেন। প্রতিটি থানাকে তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, নিষিদ্ধ শব্দবাজির বিরুদ্ধে ধরপাকড় চালাতে হবে। নির্দিষ্ট ধারায় কেস দিতে হবে। একইসঙ্গে চাঁদার জুলুম নিয়েও কালীপুজোয় বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। এক্ষেত্রে থানার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহলে। এক্ষেত্রে নগরপাল স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, শহরের কোনও প্রান্ত থেকে চাঁদা নিয়ে যেন কোনও অভিযোগ না আসে। সামান্যতম অভিযোগ এলেও যেন চটজলদি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পাশাপাশি এই ধরনের ঘটনা ঘটছে কি না, তা নিয়েও থানাগুলিকে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকেই বাজি আসছে শহর কলকাতায়। লরি করেই তা আনা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাজিঠাসা লরি উপরের দিকে রাখা হয় ৯০ ডেসিবেলের বাজি। তার নীচেই রাখা থাকে নিষিদ্ধ শব্দবাজি। সেই কারণেই ছোট লরির উপর বাড়তি নজরদারি শুরু করেছেন বিভিন্ন থানার অফিসাররা। মূলত কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বাড়তি নজরদারি চলছে। গাড়ি থামিয়ে চলছে তল্লাশি। একইসঙ্গে কোথাও কোনও গোডাউনে নিষিদ্ধ শব্দবাজি মজুত করে রাখা হয়েছে কি না, তা নিয়ে চলছে খোঁজখবর। কলকাতা পুলিসের এক কর্তার কথায়, পুলিস ধরপাকড় করবে বলে এখন আগে থেকেই নিষিদ্ধ শব্দবাজি কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। বিভিন্ন গোডাউনে তা মজুত থাকে। পুজোর আগে তা বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়। সেই কারণেই বিভিন্ন থানা এলাকার কোথাও গোডাউনে নিষিদ্ধ শব্দবাজি মজুত করে রাখা হয়েছে কি না, সে সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
শুধুমাত্র বাজিই নয়, কালীপুজো ও দীপাবলির রাতে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি হয়। এমনকী গোলমালের ঘটনাও ঘটে। সেই কারণে সিপির স্পষ্ট নির্দেশ, কোথাও কোনও জুয়ার আসর বসছে কি না, তা নিয়ে নজরদারি চালাতে হবে নিয়মিত। একইসঙ্গে বেআইনি মদ বাজেয়াপ্ত করার উপরও জোর দেওয়া হয়েছে।