গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কার্নিভালের দিন রেড রোডে রাজ্যপাল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বসার জায়গার পাশাপাশি লাইভ টেলি-সম্প্রচারে তাঁকে কার্যত ‘ব্ল্যাকআউট’ করার বিষয়টি নিয়ে সেদিন থেকেই ক্ষোভে গুমরোচ্ছিলেন তিনি। রাজভবনের আধিকারিকদের কাছে তিনি বারবার এনিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছিলেন। তারপর সোমবার একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি পাক্ষিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এব্যাপারে তাঁর যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দেন। পরে মঙ্গলবার জাতীয় গ্রন্থাগার পরিদর্শন করার পর স্থানীয় মিডিয়ার সামনেও একইভাবে নিজের মনোভাব ব্যক্ত করেন।
রাজ্যপালের এহেন তোপের বিরুদ্ধে সেভাবে পাল্টা কড়া বিবৃতি না দিলেও তাঁকে একদম ছেড়ে কথা বলেনি সরকারপক্ষ। রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও শাসকদলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, রাজ্যপাল বললেই সব কিছুর উত্তর দিতে হবে, তার কোনও মানে নেই। উনি যা বলছেন, বলতে দিন। উনি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। ওঁর যা করা উচিত, সেটা করলেই আমরা খুশি হতাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যের, তা উনি করছেন না। তাই ওঁকে এত গুরুত্ব দিয়ে লাভ নেই। ধনকারের পাশে দাঁড়িয়ে অবশ্য বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, সেদিন তাঁকে লোকচক্ষুর আড়ালে বসানো হয়েছিল। সাংবিধানিক প্রধানের প্রতি এই অপমানজনক আচরণের কথাই উনি বলেছেন। উনি সকলের সামনে এই আচরণের কথা তুলে ধরায় সরকারের কাছে তা অস্বস্তিকর মনে হচ্ছে। সেদিন কার্নিভালের মূলমঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বসা বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানও মনে করেন সেদিন রাজ্যপালের সঙ্গে সঠিক আচরণ করা হয়নি। তাঁর কথায়, বিশিষ্ট অতিথিদের সামনে রাজ্যপালের সঙ্গে এমন আচরণ করা নিয়ে পরে তাঁকেও বহু মানুষ প্রশ্ন করেছেন।
ওই পাক্ষিককে দেওয়া সাক্ষাৎকার ও এদিন মিডিয়ার সামনে রাজ্যপাল বলেছেন, সেদিন যেখানে তাঁকে বসতে দেওয়া হয়েছিল, সেখান থেকে অনুষ্ঠান ঠিকমতো দেখতে না পাওয়ায় বারবার তাঁকে আসন বদলাতে হয়েছিল। শুরু ও শেষে মাত্র কয়েক সেকেন্ড মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে দেখা করেই চলে যান। মাঝে আর কেউ খোঁজ নেয়নি। চার ঘণ্টার অনুষ্ঠানে টিভি’র পর্দাতে তাঁকে একবারও না দেখানোয় তার কারণ জানতে চান ‘স্তম্ভিত’ রাজ্যপাল।