গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সোনার উপর শুল্ক বসিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যা দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অন্যতম কারণ। এরপর থেকেই চোরাপথে সোনা আসার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারত দিয়েই এই রাজ্যে সোনা ঢুকছে। তাই দিল্লি থেকে নির্দেশ এসেছে, চোরাপথে আসা সোনা বাজেয়াপ্ত করার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। তারপর থেকেই ডিআরআই, শুল্ক দপ্তর সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সি ধরপাকড়ে জোর দিয়েছে। লাগাতার তল্লাশি অভিযানও চলছে।
উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে চোরাপথে আসা সোনার কারবার বন্ধ করতে মরিয়া শুল্ক দপ্তরের কর্তারা। তাঁদের কাছে খবর ছিল, মিজোরাম থেকে দুই ব্যক্তি সোনার বাট নিয়ে কলকাতায় আসছে। ফুলবাগান এলাকায় তা হাতবদল হবে। কলকাতার এক বাসিন্দা সেগুলি নিয়ে যাবে। এরপরই মিজোরামের ওই দুই পাচারকারী সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করেন অফিসাররা। সেইমতো তাঁরা ফুলবাগান থানা এলাকায় ওত পেতে বসেছিলেন। দুই পাচারকারী একটি গাড়ির মধ্যে বসে কলকাতার এজেন্টের হাতে ওই সোনা তুলে দেওয়ার সময় তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন শুল্ক দপ্তরের অফিসাররা। ই তিনজনকেই আটক করা হয়। প্রমাণস্বরূপ ওই সোনার কোনও কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। নজর এড়াতে ছোট ছোট প্লাস্টিকের প্যাকেটে প্রথমে সোনার বাটগুলি ভরা হয়। সেগুলি রাখা হয়েছিল বেল্টের মধ্যে বিশেষ খাপ তৈরি করে। যাতে সহজে কারও নজরে না আসে।
তদন্তে নেমে শুল্ক দপ্তরের অফিসাররা জানতে পেরেছেন, চীন থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা ভারতে ঢুকছে। উদ্ধার হওয়া সোনা সেখান থেকেই এসেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। মায়ানমার হয়ে তা মিজোরামে ঢোকে। সেখানে চোরাকারবারিদের এক বড় মাথা ওই সোনা তুলে দেয় দুই এজেন্টের হাতে। মিজোরাম থেকে সড়কপথে তা শিলিগুড়িতে আনা হয়। এরপর ট্রেনে করে ওই দু’জন কলকাতায় আসে। কলকাতায় যারা এগুলি নেয়, তাদের সঙ্গে ওই দুই অভিযুক্ত মোবাইলে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিল। যে কারণে তাদের অবস্থান জানতে সুবিধা হয় তদন্তকারী অফিসারদের। ধৃতরা পুলিসকে জানিয়েছে, মোটা টাকা কমিশনের বিনিময়ে তারা চোরাই সোনা আনার কাজ করে। এর আগেও তারা বেশ কয়েকবার এরাজ্যে চোরাই সোনা নিয়ে এসেছে এবং তা বিভিন্ন ব্যক্তির হাতে তুলে দিয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক যুবক এই কাজে জড়িত। চোরাকারবারের মাথায় যারা রয়েছে, তাদের নির্দেশেই তারা বিভিন্ন জায়গায় সোনা পৌঁছে দেয়। বেশ কিছুদিন হল এরাজ্যে চোরাই সোনার চাহিদা বেড়েছে বলে ওই দুই মিজোরামবাসীর থেকে জানতে পেরেছেন অফিসাররা। তাদের দাবি, উত্তর-পূর্ব ভারতে যারা এই কারবারের মূল পাণ্ডা, তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সোনা পাচারকারীদের যোগাযোগ রয়েছে। সেই কারণে বিপুল মাত্রায় চোরাই সোনা আনা সম্ভব হচ্ছে।