কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, গতবছর জুন মাসে গিরিশ পার্ক এলাকার এক বৃদ্ধা বিধাননগর সাইবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগে তিনি জানান, ২০১৮ সালের মার্চ মাসে একটি ফোন পেয়েছিলেন। তাঁদের একটি বিমার টাকা পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কিছু সমস্যা হচ্ছিল। তাই সেই সমস্যার সমাধান করে টাকা পাইয়ে দেবে বলে ফোনে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এরপরে বৃদ্ধা ফোন করা ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে চান। তখন ওই ব্যক্তি বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে বিমা সংক্রান্ত কী সমস্যা রয়েছে, সেই সংক্রান্ত নথিও যাচাই করে আসে। এরপরে ওই ব্যক্তি বৃদ্ধাকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভের অফিসে আসতে বলেন। সেই মতো ওই বৃদ্ধা সল্টলেক সেক্টর ফাইভের অফিসে গিয়ে দেখা করেন। বৃদ্ধার দাবি, তাদের সঙ্গে বিশদে কথা হয়। তখন তারা বৃদ্ধাকে প্রস্তাব দেয় বিমার যে টাকা পাওয়ার কথা, সেই মূল্যের বিনিময়ে বৃদ্ধার প্রতিবন্ধী ছেলের নামে নতুন পলিসি তৈরি করা হবে। সেই মতো নতুন পলিসি করিয়ে দেওয়ার জন্য ৪০ লক্ষ টাকাও বৃদ্ধার থেকে নেওয়া হয়। কিন্তু, পরবর্তী সময়ে বৃদ্ধার সন্দেহ হওয়াতে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এরপরেই পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করে। ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিসের দাবি, ধৃতদের মধ্যে রাজেশ সাউ, দেবাশিস দেবনাথ, কৃশানু দাস নামে তিনজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, এরাই এই চক্রের মূল পান্ডা। শুধু ওই বৃদ্ধা নয়, এরকম আরও বহুজনকেই তারা প্রতারিত করেছে। তাই এবিষয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, ধৃতরা সল্টলেকের এই অফিস থেকে গোটা রাজ্যে প্রতারণার জাল ছড়িয়েছিল। ধৃতদের কাছ থেকে যে সমস্ত নথি উদ্ধার করা হয়েছে, তা থেকে কত মানুষকে এভাবে প্রতারিত করা হয়েছে, সেবিষয়েও তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছে সাইবার থানার পুলিস। একইসঙ্গে এদের কাছে প্রতারিত হওয়া অন্যান্যদেরও পুলিসের কাছে অভিযোগ জানানোর আবেদন করা হয়েছে।