পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে রাধারানীপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানতে পারে, সুদর্শনের বাড়িতে খুন হয়েছেন সুলতা। বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন, এদিন সন্ধ্যায় পড়শিরা সুদর্শনের বাড়িতে যেতেই দেখেন, ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই মহিলা। এরপরই চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হতেই পাড়ার লোকজন ওই বাড়িতে ছুটে যান। তাঁদের নজরে আসে, গলাকাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই মহিলা। তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় অস্ত্রের কোপ রয়েছে। ঘরের মেঝে রক্তে ভেসে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে খবর যান বাসন্তী থানায়। পুলিস এসে দেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এরপরই সুদর্শনকে আটক করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, বিবাহ বহির্ভূত ও পারিবারিক কারণে ওই মহিলাকে গলা কেটে খুন করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সুদর্শনের আগে একটি বিয়ে হয়েছিল। প্রথম পক্ষের স্ত্রীয়ের নাম মানসী মণ্ডল। তাদের একটি ছেলেও রয়েছে। কিন্তু বছর খানেক ধরে মৈপীঠ কোস্টাল থানার এলাকার বাসিন্দা দুলাল পয়রার স্ত্রী সুলতা পয়রার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে সুদর্শনের। সুলতার স্বামী কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকেন। যার জেরে সুলতা সুদর্শনের বাড়িতে চলে আসতেন। এমনকী, পরবর্তীকালে পাকাপাকিভাবেই সুদর্শনের সঙ্গেই থাকতে শুরু করেন। গত দেড় বছর ধরেই তিনি সুদর্শনের সঙ্গেই ছিলেন বলে পুলিস জানিয়েছে। যা ভালোভাবে মেনে নিতে পারেনি মানসী মণ্ডল। বিষয়টি সুদর্শনের সঙ্গে তার চরম দাম্পত্য কলহ লেগেই ছিল। পড়শিদের অভিযোগ, এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক এলাকার বাসিন্দারা ভালোভাবে নেননি। দিনের পর দিন সুলতা সুর্দশনের বাড়িতে এসে পড়ে থাকা নিয়ে চারপাশে কানাঘুষো হয়। কিন্তু সেটিকে ধর্তব্যের মধ্যে আনেনি সুদর্শন। পুলিস জানিয়েছে, মানসী মণ্ডল এই সম্পর্ক নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছেলেকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করে। তবে এই খুনের নেপথ্যে শুধুই কি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নাকি অন্য কোনও কার রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। যদিও সুলতার মেয়েদের দাবি, কোনওরকম বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল না। আর্থিক লেনদেনের কারণেই তাদের মাকে খুন করা হয়েছে। পুলিস অবশ্য কারণ নিয়ে এখনই কিছু বলতে চায়নি। যদিও যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুলতাকে খুন করা হয়েছে, সেটিকে উদ্ধার করতে পারেননি তদন্তকারীরা। তাঁদের কথায়, সুদর্শনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কিন্তু আদৌ সে খুন করেছে, নাকি অন্য কেউ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।