গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সোমবার হলেও সরকারি অফিস না খোলায় এদিন রাস্তাঘাটে মানুষের ভিড় সামান্য হলেও কম ছিল। তবে বি টি রোডে বাসের সংখ্যাও ছিল উল্লেখযোগ্যভাবে কম। যানজটে আটকে ভোগান্তি তেমন না হলে কী হবে, বাসস্ট্যান্ডগুলিতে বাসের জন্য হাপিত্যেশ করে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের ভোগান্তি চরমে ওঠে এদিন। তাছাড়া বহু বাস শ্যামবাজার যাচ্ছে না বলে অনেকে চিড়িয়ামোড়ে এসে সেই বাস ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। সিঁথির মোড় থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত একটি নতুন অটোরুট চালু হয়েছে। সেই অটো টালা ব্রিজের উপর দিয়েই যাচ্ছে। কিন্তু এই রুটের কথা জানেন না বহু মানুষ। ফলে শ্যামবাজার বা সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের দিকে যাওয়ার জন্য যাত্রীদের বহু সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে। চিড়িয়ামোড়ের বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিলেন টিটাগড়ের বাসিন্দা কল্লোল ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, গিরীশ পার্ক মেট্রোর কাছে যেতে হবে আমাকে। বাস পেয়ে যাব ভেবে প্রায় আধঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলাম। এখন একজন বললেন, এখানে যে কোনও বাস ধরে দমদমে নেমে মেট্রো ধরতে হবে। সেটাই সহজ উপায়। চিড়িয়ামোড়ে বাস ধরলে অবশ্য রাস্তা ফাঁকা থাকায় মিনিট দশেকের মধ্যেই দমদম স্টেশনের কাছে আসা গিয়েছে। কিন্তু বাসের আশায় দাঁড়িয়ে থেকে অনেকে ৩০-৪০ মিনিট খরচ করে যখন মেট্রোর জন্য পা বাড়াচ্ছেন, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে যাচ্ছে গন্তব্যে যেতে। রাস্তার অবস্থা এমন হতে পারে, আন্দাজ করেই অবশ্য সকালবেলার অফিসযাত্রীরা অনেকে ট্রেন ধরেছেন। তাই আগাম আশঙ্কাকে সত্যি করে সকাল থেকেই শিয়ালদহ মেন লাইনের ট্রেনগুলিতে ছিল অন্যান্য দিনের চেয়েও প্রচুর ভিড়। বুধবারের পর সার্বিক পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে, তা এখনই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বহু মানুষের।
নতুন তৈরি হওয়া নর্থ কলকাতা বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বোস বলেন, পরিবহণ দপ্তর এবং পুলিসকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বেশ কিছু রুট নতুন করে বিন্যাসের আর্জি তারা মেনে নিয়েছে। আমরাও অন্যান্য মালিকদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। আশা করছি, মঙ্গলবার থেকে বন্ধ থাকা রুটগুলিতে বাস চলবে। জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নতুন করে কিছু রুট বিন্যাসের দাবি আমরাও জানিয়েছি। কারণ বর্তমান রুট নিয়ে মালিক-শ্রমিকরা অসন্তুষ্ট। তাই সেসব রুটে পরিষেবা বন্ধ রাখছেন তাঁরা।
প্রতিশ্রুতিমতো মেট্রো এদিন আপ-ডাউন মিলিয়ে ২৮৮টি ট্রেন চালায়। পুজোর আগে থেকেই এই সংখ্যক ট্রেন তারা চালাচ্ছিল। যাত্রীসংখ্যা বাড়লে চলতি সপ্তাহে একটি বৈঠক করে নোয়াপাড়া থেকে আরও চার-পাঁচটি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।