পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রের দাবি, ওই এলাকায় জ্বরের প্রকোপ থাকলেও সবারই ডেঙ্গু হয়েছে, সেবিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত নয় তারা। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাসিন্দারা যে রক্ত পরীক্ষা করেছেন, তাতে এনএস১ পজিটিভ বলা হয়েছে। তবে তাঁদের ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা ছিল বা রয়েছে, সেটা বলাই যায়। তাই প্রয়োজনে এলাকায় স্বাস্থ্য ক্যাম্প করে বাসিন্দাদের রক্ত পরীক্ষা সহ অন্যান্য পদক্ষেপ করতে চাইছে পুরসভা। তারুলিয়া এলাকার বাসিন্দা রাজীব দাস বলেন, তাঁর আত্মীয়দের কয়েকজনও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর বাড়িতে ভাড়া থাকা কয়েকজনও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। তাঁর দাবি, পাড়ায় প্রত্যেক বাড়িতেই কেউ না কেউ ডেঙ্গু বা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। স্থানীয় কাউন্সিলার প্রসেনজিৎ সর্দার বলেন, পুজোর আগে থেকেই ওই এলাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা জানাজানি হয়েছিল। তারপরে এলাকায় লাগাতার ফগিং করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানা যায়, একটি বাড়ির ছাদে প্রায় ৫০-৬০টি টবে জল জমে ছিল। তাতে প্রচুর পরিমাণে মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছে। ওই বাড়িতে বাসিন্দাদের যাতায়াত কম থাকায়, বিষয়টি কারও নজরে আসেনি। স্বাস্থ্য কর্মীরা দেখার পরই তা নষ্ট করে দেওয়া হয়। পুজোর পরে এলাকা থেকে নতুন করে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসেনি। তবে এলাকার উপর পুরসভার পক্ষ থেকে নজর রাখা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা এক আইনজীবী বলেন, তাঁদের পাড়াতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০ জন মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি নিজেও পুজোর আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আই ডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁর মতো এলাকার বহু বাসিন্দাই কিছুটা সুস্থ হলেও, এলাকা থেকে ডেঙ্গু বা জ্বরের আতঙ্ক এখনও যায়নি। পুজোর পরপরই এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতার জন্য পুরসভার পক্ষ থেকেও ওই পাড়া এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রচারও করা হয়।
এদিকে, বিধাননগর পুরসভার ২৮ নং ওয়ার্ডের মহিষবাথানের পোলেনআইটের কাছে একটি আবাসনে ৮-১০ জন জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সম্প্রতি পুরসভার কাছে তথ্য আসে। পুরসভা সূত্রের খবর, রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায় থেকে এই তথ্য পুরসভাকে জানানো হয়। এরপরেই এদিন বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ প্রণয় রায় এবং স্থানীয় কাউন্সিলার বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় আবাসন পরিদর্শনে যান। আবাসনের বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল, পাশে দুটি নির্মীয়মাণ আবাসন রয়েছে। সেখানকার জমা জলেই মশার লার্ভা বাড়ছে। তাতেই মশার প্রকোপ বেড়েছে এলাকায়। যদিও পরিদর্শনের পর দেখা গিয়েছে, দুই নির্মীয়মাণ আবাসন ছাড়াও ওই আবাসনেও বিভিন্ন জায়গায় জমা জল রয়েছে। শুক্রবার মধ্যে তা পরিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুরসভার পক্ষ থেকে। বলা হয়েছে, শুক্রবারের মধ্যে জমা জল পরিষ্কার না হলে, পুর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হবে। অন্যদিকে, এলাকায় এদিন থেকেই ফগিং করা, মশার তেল ছড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে।