পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অভিজিৎবাবুর সঙ্গে সাউথ পয়েন্ট স্কুলে পড়াশোনা করেছেন শর্মিলা দে সরকার। তাঁর কথায়, ১৯৭৬ থেকে ১৯৭৮-এর ব্যাচে আমরা একই ক্লাসেই ছিলাম। পড়াশোনায় যেমন ভালো, তেমনই ফুটবলটাও ভালো খেলত। স্কুল থেকে কলেজ পর্যন্ত আমরা একসঙ্গেই ছিলাম। আজ যে অভিজিৎ নোবেল পেল, তাতে আমরা ভীষণ খুশি। ২০১২ সালে সেরা বাঙালি পুরস্কার পাওয়ার পর থেকেই নোবেল পাওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। আমরা সেটা বুঝতে পেরেছিলাম। ওর সাফল্যের জন্য আমাদের বন্ধুদের তরফে একটি শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানো হবে।
এদিকে, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ও এই নোবেলজয়ী অধ্যাপককে নিয়ে উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেনি। রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার বলেন, এই প্রতিষ্ঠান থেকেই দু’জন অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন। এটা শুধু প্রেসিডেন্সির নয়, রাজ্য এবং দেশের গর্ব। অভিজিৎবাবু বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন্টর গ্রুপের সদস্য ছিলেন। তিনি অমূল্য পরামর্শ দিয়েছেন। যখনই কলকাতায় আসতেন, এই প্রতিষ্ঠানে অন্তত একবার ঘুরে যেতেন। তাঁর এই নোবেলজয়কে বিশ্ববিদ্যালয় বড় করে উদযাপন করবে। এই নিয়ে কী অনুষ্ঠান হবে, বিশ্ববিদ্যালয় খুললে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী সংসদও অভিজিৎবাবুর নোবেল প্রাপ্তিতে খুশি।
প্রেসিডেন্সি থেকে স্নাতক করার পর দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন। অভিজিৎবাবুর শিক্ষক অঞ্জন মুখোপাধ্যায় তাঁর ছাত্রের এই সাফল্যে খুব খুশি। তাঁর বক্তব্য, খুব বেশি শিক্ষক নেই যাঁরা বলতে পারবেন যে, আমরা একজন নোবেলজয়ীকে পড়িয়েছিলাম। কিন্তু আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারব সেটা। পড়ুয়া হিসেবে খুব ভালো ছিল অভিজিৎ। ২০০৮ সালে ওর বই যখন প্রকাশিত হয়, তখনই বুঝতে পেরেছিলাম, অভিজিৎ একদিন নোবেল পাবে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও অভিজিৎবাবুর সাফল্য নিয়ে উচ্ছ্বাস ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, এটা বাঙালির গর্বের দিন। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, অর্থনীতিতেই আবারও একজন বাঙালি নোবেল পেলেন। তিনি অনেক ভালো কাজ করেছেন। ক্ষমতায় আসার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিজিৎবাবুকে প্রেসিডেন্সির মেন্টর গ্রুপের সদস্য করেছিলেন।