কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সপ্তাহ ঘুরতে চললেও জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে এখনও অন্ধকারেই পুলিস। খুনের মোটিভ কী এবং কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল, তা নিয়ে এখনও কোনও স্থির সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি তারা। একাধিক সম্ভাবনার তত্ত্ব খাড়া করা হচ্ছে। কিন্তু মূল অভিযুক্ত এখনও অধরাই রয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, দশমীর দিন জিয়াগঞ্জ শহরের লেবুবাজার এলাকায় একটি বাড়ির মধ্যে খুন হন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর সন্তানসম্ভবা স্ত্রী বিউটি পাল এবং তাঁদের ছয় বছরের ছেলে। প্রথমে জেলা পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করে। ঘটনার কয়েকদিন পর সিআইডিকে তদন্তে সহযোগিতা করতে বলা হয়।
প্রথম থেকে তদন্ত ঠিকপথে পরিচালিত হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে পুলিস মহলের একাংশ। দীর্ঘদিন ধরে তদন্তের সঙ্গে জড়িত এক আধিকারিকের কথায়, খুনের ঘটনা ঘটলে সেই স্থান ঘিরে রাখা, ঘটনাস্থলে পুলিস কুকুর নিয়ে আসা, সেখানে পড়ে থাকা সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা এবং ফরেন্সিক টিম নিয়ে আসা প্রাথমিক কাজের মধ্যে পড়ে। এগুলির ভিত্তিতে তদন্তে এগনো হয়। অভিযুক্তের ফেলে যাওয়া জিনিস অন্যতম ক্লু হয়ে দাঁড়ায় তদন্তের ক্ষেত্রে। জিয়াগঞ্জে খুনের পর জেলার অফিসাররা এর কোনওটিই করেননি বলে রাজ্য পুলিসের উপরতলার কর্তারা জানতে পেরেছেন। যা নিয়ে তাঁরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থলে পুলিস কুকুর নিয়ে আসা হয়নি। অথচ তা নিয়ে আসা হলে জানা সম্ভব হতো অভিযুক্তরা কোন পথ দিয়ে ঘটনার পর পালিয়েছে। ঘটনাস্থল ঘিরে না রাখায় সবাই অবাধে যাতায়াত করেছে। সিআইডি মাঠে নামার পরই এলাকা ঘিরে দেয় তারা। এমনকী তারাই ফরেন্সিক টিম নিয়ে আসে ঘটনাস্থলে। তদন্তের প্রাথমিক জিনিসগুলি নিয়ে তারা কাজ শুরু করে। যা জেলা পুলিসের আগেই করা উচিত ছিল। ঘটনার বেশ কয়েকদিন পর ফরেন্সিক টিম আসায় সেখান থেকে আদৌ কী পাওয়া যাবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে অফিসারদের মধ্যেই। বিশেষত ঘটনাস্থল উন্মুক্ত থাকায় অনেক প্রমাণ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন অফিসারদের অনেকেই।