কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
কলকাতার সঙ্গে বরানগরবাসীর সংযোগের ক্ষেত্রে ৩৪বি বাস রুট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত ৫০ বছর ধরে ডানলপ-বরানগর-সিঁথি হয়ে ধর্মতলা রুটে বাস চলছে। বর্তমানে বাসের সংখ্যা ৩৫টি এই রুটে কলকাতা ও শহরতলির ২৯টি স্কুল পড়ে। প্রতিদিন নিত্যযাত্রী, স্কুল ছাত্রছাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ এই রুটের বাসে চড়ে কলকাতায় নানান কাজের প্রয়োজনে যাতায়াত করেন। সম্প্রতি ভগ্নদশার টালা ব্রিজ মেরামতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর রাজ্য সরকারের পরিবহণ দপ্তর থেকে নতুন রুটে ৩৪বি বাস চালানো হচ্ছে। বরানগরের বাসিন্দারা জানান, এই রুটে বাস চললে তা সাধারণ মানুষের কোনও সুবিধা হবে না। শুধু তাই নয়, বাস কর্মচারী, বাস মালিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। টালা ব্রিজের সংস্কার হতে কত সময় লাগবে, তা রাজ্য সরকার এখনও জানায়নি। ব্রিজ ভেঙে নতুন করে তৈরি করতে হলে তো সময় আরও বেশি লাগবে। ফলে এই ভোগান্তির কবে শেষ হবে, তা জানতে পারছি না। প্রতিদিন বরানগর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার ছাত্র ছাত্রী, নিত্যযাত্রী কীভাবে যাতায়াত করবে? টালা ব্রিজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর প্রতিদিন যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এছাড়া যে রুটে বাস চলছে, তাতে যাত্রী না হওয়ায় বাস কর্মচারী ও মালিকরা লোকসানের মুখে পড়েছেন।
বরানগরের বাসিন্দাদের দাবি, ৩৪বি বাসের বর্তমান রুটের পরিবর্তে ডানলপ-বরানগর-কাশীপুর-রাজবল্লভপাড়া- শ্যামবাজার- ধর্মতলা বাস চালানো হোক। টালা ব্রিজ মেরামত না হওয়া পর্যন্ত ডানকুনি-শিয়ালদহ লাইনে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হোক। বন্ধ হয়ে যাওয়া কুলিঘাট-বাগবাজার ফেরি সার্ভিস চালু করা হোক। মেট্রো রেলে নোয়াপাড়া স্টেশন থেকে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ুক। বরানগরের বাসিন্দা সুচিত্রা ভট্টাচার্য বলেন, টালা ব্রিজ বন্ধ হওয়ায় বরানগরের মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন। ব্রিজ মেরামতি না হওয়া পর্যন্ত ৩৪বি বাসের রুট পরিবর্তন করা হোক। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিক। বারাকপুরের মহকুমা শাসক আব্দুল কালাম আজাদ ইসলাম বলেন, লিখিত দাবিপত্র এলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।