কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী তথা হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য অরূপ রায় বলেন, ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। তারপর আমরা পুরসভায় একটি প্রস্তাব গ্রহণ করি। ওই প্রস্তাব পুর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। পুর দপ্তর আবার তা মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে। অরূপবাবু বলেন, ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের খুবই প্রয়োজন আছে। কিছু ওয়ার্ডের জনসংখ্যা ৫০ হাজার, আবার কিছু ওয়ার্ডের জনসংখ্যা ৫ হাজার। ওয়ার্ডগুলির ভারসাম্য আনতেই এই ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজন আছে। কারণ এতে উন্নয়নমূলক কাজের ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধা হচ্ছে।
আগামী বছর গোড়ায় রাজ্যের আরও কিছু পুরসভার সঙ্গে হাওড়া পুরসভারও নির্বাচন করার কথা আছে। তার আগেই ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ করে ফেলা হবে বলে পুর দপ্তরের অফিসাররা মনে করছেন। মূলত শহরের ১৫, ৪১, ৪৫, ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের জনসংখ্যা অনেক বেশি। আবার কিছু এলাকায় বস্তি রয়েছে। সেখানে উন্নয়নমূলক কাজের অনেক বেশি প্রয়োজন। কিন্তু, ওই ওয়ার্ডের জনসংখ্যা বেশি থাকায় তুলনামূলক ভালো কাজ করা যাচ্ছে না। তাই ওয়ার্ডগুলির পুনর্বিন্যাস করে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করা হবে। বালি পুরসভা হাওড়া কর্পোরেশনের মধ্যে যোগ হওয়ার পর এখন মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ৬৬টি। পুনর্বিন্যাস হলে ওয়ার্ড সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলেও পুর দপ্তরের অফিসাররা মনে করছেন। যদিও বিরোধীরা বিষয়টিকে অন্যভাবে কটাক্ষ করেছেন। তাঁরা মনে করছেন, তৃণমূলের টিকিটের জন্য এত বেশি সংখ্যক নেতা দাবিদার হয়েছেন, তাঁদের সকলকে টিকিট দিতে গেলে ওয়ার্ড বৃদ্ধি ছাড়া কোনও উপায় নেই।
গত লোকসভা ভোটের নিরিখে হাওড়া পুরসভা এলাকায় তৃণমূলের ফল খারাপ হয়েছে। উত্তর হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রায় ৩ হাজার ভোটে পিছিয়ে রয়েছে। বালিতে মাত্র ৩০০ ভোটে লিড পেয়েছে। মধ্য হাওড়ার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে। তুলনামূলকভাবে দক্ষিণ হাওড়ায় তৃণমূলের ফল কিছুটা ভালো হয়েছে। ওয়ার্ডভিত্তিক ফলাফলের নিরিখে শহরের ৬৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৫টি ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে। অথচ বিগত বোর্ডে বিজেপির মাত্র একজন কাউন্সিলার ছিলেন। বিজেপি তাই পুর ভোটে আরও মরিয়া হয়ে ঝাঁপাতে চাইছে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, লোকসভা ভোট ও পুরসভা ভোটের প্রেক্ষিত সম্পূর্ণ ভিন্ন। গত পাঁচ বছরে হাওড়া পুরসভায় যা উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, তা বিগত দিনে হয়নি। মানুষ কাজ দেখে পুরসভা নির্বাচনে ভোট দেন। তাই লোকসভা ভোটের সঙ্গে পুর ভোটকে মিশিয়ে দিলে চলবে না। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এবার পুর ভোটে হাওড়ায় তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ হতে চলেছে বিজেপিই। সেই মতো দু’পক্ষই ঘুঁটি সাজানো শুরু করেছে।