বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত বলেন, প্রতিমাটিকে ঝিলপাড়ে কোথায় বসানো হবে, সেই জায়গা ঠিক হয়ে গিয়েছে। আগামী দু’দিনের মধ্যে প্রতিমাটিকে বসানো হবে। ক্লাবকর্তারা বলেন, আমাদের এবারের প্রতিমা বিগত বছরগুলির তুলনায় বেশি সাড়া জাগিয়েছে। প্রায় প্রত্যেক দর্শনার্থী প্রতিমা দেখে উচ্ছ্বসিত। বিশেষ করে ‘অসুরকে’ যেভাবে সাজানো হয়েছিল, তাতে অনেকেই মুগ্ধ। এই প্রতিমা যাতে সারা বছর মানুষ দেখতে পান, সেকারণেই সেটি ঝিলপাড়ে বসানো হবে। বর্তমানে সেখানে একটি দুর্গাপ্রতিমা রয়েছে। যদিও এই প্রতিমাটি ২ নম্বর ঝিলপাড়ে বসানো হবে বলেই জানিয়েছেন ক্লাবকর্তারা। গত শুক্রবার দুর্গা কার্নিভালে নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ অংশ নেওয়ার পর প্রতিমাটিকে পাটুলিতে এনে ঢেকে রেখে দেওয়া হয়েছে।
নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের ২০১১ সালের প্রতিমা মেহগনি কাঠ ও পিতলের সংমিশ্রণে তৈরি হয়েছিল। সেটিকে নিরঞ্জন না দিয়ে ইকো পার্কে বসানো হয়। আবার ২০১৩ সালে পাথরের প্রতিমা তৈরি হয়েছিল। সেটিও রাখা হয়েছে ইকো পার্কে। পাশাপাশি, দু’-তিন বছর আগে মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহৃত কৃত্রিম উপায়ে তৈরি সূর্যমুখী ফুল পরবর্তীকালে ঝিলসজ্জায় ব্যবহার করা হয়েছিল।
কলকাতা পুরসভার উদ্যান বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, কলকাতাকে সাজানোর জন্য প্রত্যেকেরই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থাকা উচিত। একটা ক্লাব তাদের প্রতিমা সৌন্দর্যায়নের জন্য বসাচ্ছে, সেটি অত্যন্ত ভালো খবর। ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বাপ্পাদিত্যবাবুর কথায়, মণ্ডপসজ্জায় যে কলসি বা মালসা ব্যবহৃত হয়েছে, সেগুলি তুলে আনা সম্ভব নয়। নাহলে ই এম বাইপাস লাগোয়া ঝিলপাড় অংশে সৌন্দর্যায়নের জন্য তা বসিয়ে দিতাম।