পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
খালনা গ্রামের যেকটি পরিবারিক প্রাচীন পুজো হয় তার মধ্যে অন্যতম গ্রামের শেষপ্রান্তে অবস্থিত কাঁড়ার পরিবারের চারুময়ী লক্ষ্মী মন্দিরের পুজো। ১৪৭ বছরের পুরনো এই প্রতিমার বিশেষত্ব হল, মন্দিরের প্রতিমার সমস্ত গয়না সোনার। পরিবারের প্রবীণ সদস্য রাজকুমার কাঁড়ার জানান, মায়ের মাথার সোনার মুকুটটি ৮০ ভরির। এমনকী মায়ের গায়ের সমস্ত অলঙ্কারও সোনার। অন্যদিকে খালনা বারুইপাড়ার সারিকেত পরিবারের পুজো ১৫০ বছরের পুরনো। পরিবারের সদস্যদের দাবি, পূর্বপুরুষেরা লক্ষ্মীর কৃপা লাভ করার পরে এই পুজো শুরু করেছিলেন।
শুধু পারিবারিক পুজো নয়, বারোয়ারি পুজোও কয়েকছর ধরে নজর কাড়ছে খালনায়। দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এখানে পুজো দেখতে আসেন। সর্বজনীন পুজোয় দেখা যায় থিমের বাহার। যেমন আনন্দময়ী তরুণ সঙ্ঘের পুজোর থিম শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্র তীর্থ। এছাড়াও মণ্ডপের ১১ ফুটের কাঁচের লক্ষ্মী প্রতিমাও সকলের নজড় কাড়বে বলে দাবি পুজো কমিটির। অন্যদিকে আমরা সকল সঙ্ঘ এবার তাদের মণ্ডপ তৈরি করেছে বল্লাল সেনের ঢিপির আদলে। রবিবার এই পুজোর উদ্বোধন করেন জেলাশাসক মুক্তা আর্য। খালনা মিতালি সঙ্ঘের হোগলা দিয়ে তৈরি নেপালের বৌদ্ধমন্দিরের আদলে মণ্ডপও এবার অন্যতম আকর্ষণ। খালনা ক্ষুদিরায়তলার এবারের থিম জল সংরক্ষণ ও গাছ বাঁচাও। খালনা রাজবংশীপড়ার এবারের থিম কালিয়া দমন। অন্যদিকে খালনা গ্রামে লক্ষ্মী পুজো উপলক্ষে গ্রামীণ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গোটা এলাকা সি সি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে।
খালনার পাশাপাশি লক্ষ্মী পুজোর উন্মাদনায় ভাসছে বাগনানের জোকা গ্রামও। কৃষিপ্রধান এই গ্রামে থিমের মণ্ডপের পাশাপাশি অভিনব প্রতিমা দেখতেও রবিবার বিকেল থেকে মানুষের ঢল নেমেছে। গ্রামের পুজো উদোক্তাদের মতে খালনা গ্রামের পাশাপাশি গত কয়েক বছরে কলকাতা সহ আশেপাশের জেলা থেকে বহু মানুষ ভিড় করছেন জোকা গ্রামে।