পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালকের কথার ভিত্তিতে তাকে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখান থেকে খুনে ব্যবহৃত জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই নাবালকের বক্তব্য অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ। তার বক্তব্যের সত্যতা খতিয়ে দেখতে পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। রবিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায় ফরেন্সিক টিম। পরে মৃতের ভাই জলিল হক ওই ঘটনায় মৃতের স্ত্রীর বিরুদ্ধে খুন ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন। ঘটনার পর বেপাত্তা মৃতের স্ত্রী মীনারা বিবি ও তাঁর বড় ছেলে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, স্বামী-স্ত্রীর প্রায়ই গণ্ডগোল লেগে থাকত।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোর ৩টে ২০ নাগাদ ওই নাবালক থানায় আসে। পুলিসকে জানায়, সে বাইরে বারান্দায় ঘুমিয়েছিল। বাবা-মায়ের চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙে যায়। এরপর সে ঘরে ঢুকে দেখে, তার বাবা মাকে মারধর করছে। দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনি। সে একটা কুড়ুল দিয়ে বাবার কপালে আঘাত করে। পরে পাথর দিয়ে মাথার পিছনে আঘাত করে। তাতেই বাবার মৃত্যু হয়। নাবালকের বয়ান শুনে স্তম্ভিত পুলিস আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা দেহটি উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি আকাঙ্ক্ষা মোড়ে পাথর, বালির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল। সাত-আট বছর আগে সে আর একটি বিয়ে করেছিল। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী থাকেন বনগাঁতে। প্রথম পক্ষের স্ত্রী, দুই মেয়ে, দুই ছেলের সঙ্গে রাজারহাটে থাকতেন ওই ব্যক্তি। রাজারহাট বিষ্ণুপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাইফুল ইসলাম বলেন, শুনলাম, ওই ব্যক্তি মদ খেয়ে প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করত। কয়েকদিন আগে ছেলেকে মারবার জন্য তাড়া করেছিল। পরিবার ওকে নিয়ে অতিষ্ঠ ছিল।