বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বেশ কিছুদিন ধরেই গোয়েন্দা বিভাগের অফিসারদের কাছে খবর আসছিল যে, পূর্ব, মধ্য, দক্ষিণ কলকাতা ও বাইপাস সংলগ্ন এলাকার বেশ কিছু পানশালায় নিয়মিত নাচের আসর বসছে। সেখানে যাঁরা গান করতে আসছেন তাঁদের অনেকেই নাচে অংশ নিচ্ছেন। রাত যত বাড়ছে ততই ভিড় বাড়ছে এই পানশালাগুলিতে। এমনকী নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও সেগুলি খোলা থাকছে বলে অভিযোগ। এই সমস্ত পানশালাগুলিতে নিয়মিত তল্লাশিও হচ্ছে না। স্থানীয় থানাও এই নিয়ে রীতিমতো উদাসীন। কোথায় কোথায় এই ধরনের কারবার চলছে, তা নিয়ে এরপরই গোয়েন্দা বিভাগের অফিসাররা খোঁজখবর শুরু করেন। তার ভিত্তিতে একটি তালিকা তৈরি করা হয়। সেইমতো গোয়েন্দা বিভাগের একাধিক টিম বেশ কয়েকটি পানশালায় হানা দেয়। মধ্য কলকাতার নিউ মার্কেট থানা এলাকার একটি পানশালায় গিয়ে তাঁরা দেখেন, সেখানে গানের তালে তালে নাচ করছেন বার সিঙ্গাররা। সেখানা আসা ব্যক্তিরা তা উপভোগ করছেন এবং অনেকেই আবার নাচে অংশও নিয়েছেন। আনন্দপুর ও প্রগতি ময়দান থানা এলাকাতেও একই চিত্র ধরা পড়ে। পানশালার আধিকারিকদের কাছে নাচ চালানোর জন্য অনুমতিপত্র দেখতে চাওয়া হয়। কিন্তু কেউই তা দেখাতে পারেননি। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় সাতজনকে। তাঁদের মদতেই সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে নাচ চলছিল বলে দাবি পুলিসের। নিয়ম বলছে, পানশালায় গান ও নাচ চালাতে বিশেষ অনুমতি নিতে হয়। কতক্ষণ তা চলবে. তাও উল্লেখ করা থাকে অনুমতিপত্রে।
দায়িত্ব নেওয়ার পর পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পানশালা, নাইট ক্লাবগুলিতে কোনও বেআইনি কাজ তিনি বরদাস্ত করবেন না। সেখানে কী কাজকর্ম হচ্ছে, তা নিয়ে লাগাতার অভিযান চলবে। এই নির্দেশের পরই নড়েচড়ে বসেন গোয়েন্দা বিভাগের অফিসাররা। ইতিমধ্যেই কলকাতার বিভিন্ন পানশালায় হানা দিয়েছে পুলিস। সেখান থেকে নিষিদ্ধ মাদক থেকে শুরু করে জুয়োর আড্ডার সন্ধান পেয়েছে তারা। বেআইনিভাবে চলা হুক্কা বারেরও খোঁজ মিলেছে। এবার বেআইনিভাবে নাচ চলার খোঁজ মিলল। তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পারছেন, শুধু তিনটি পানশালাই নয়, শহরের একাধিক পানশালাতে অনুমতি ছাড়াই নাচ চলছে। যার মধ্যে পূর্ব, মধ্য কলকাতা সহ অ্যাডেড এরিয়ার একাধিক পানশালার নাম হাতে এসেছে অফিসারদের। এদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি স্থানীয় থানাগুলিকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাদের এলাকায় কোন পানশালায় কী চলছে, তা নিয়ে খোঁজখবর করতে। যাতে এই ধরনের বেআইনি কাজ বন্ধ করা যায়। আসলে থানার নজরদারির অভাবেই যে পানশালাগুলিতে এই ধরনের ব্যবসা জাঁকিয়ে বসেছে, তা মানছে পুলিসের একাংশ।