গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পূর্তদপ্তরের অফিসাররা বলেছেন, বর্ষা চলার জন্য ভালো করে কাজ করা যায়নি। এখন বর্ষা চলে গিয়েছে। এবার গোটা রাস্তা ভালো করে মেরামত করা হবে। নভেম্বর মাসের মধ্যেই রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
গত আগষ্টে হাওড়ায় শরৎ সদনে প্রশাসনিক বৈঠকে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কাছে এই রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দক্ষিণ হাওড়ার বিধায়ক ব্রজমোহন মজুমদার। তখনই মুখ্যমন্ত্রী পূর্তদপ্তরের কর্তাদের দ্রুত রাস্তা মেরামত করার জন্য নির্দেশ দেন। এরপর সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকেও পূর্তদপ্তরের কাছে রাস্তা মেরামত করার আবেদন জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। দানেশ শেখ লেন থেকে বকুলতলা পর্যন্ত রাস্তায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এক ফোটা বৃষ্টি হলেই ওই গর্তে জল জমে যাচ্ছে। তার ফলে বোঝা যাচ্ছে না, কতটা গর্ত রয়েছে। তাই বাইক আরোহীরা প্রতিদিনই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। এছাড়াও রাস্তার চূড়ান্ত বেহাল দশা হওয়ার কারণে প্রতিদিন ব্যাপক যানজট হচ্ছে। এই রাস্তার উপরই মৌড়িগ্রামের ইন্ডিয়ান অয়েলের ডিপো রয়েছে। সেখান থেকে তেল নিয়ে প্রতিদিন শতাধিক গাড়ি হাওড়ার দিকে আসে। কিন্তু, রাস্তার এই বেহাল দশার কারণে ওই গাড়িগুলিও চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
ট্রাফিক পুলিসের কর্তারা বলেছেন, প্রতিদিন কোনা এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে গড়ে ১৫ হাজার পণ্যবাহী গাড়ি আগেই চলাচল করত। টালা ব্রিজে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের কারণে অতিরিক্ত প্রায় ৯ হাজার গাড়ি কোনা এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে কলকাতার দিকে যাচ্ছে। ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে আসা কিছু গাড়ি আলমপুর মোড় দিয়ে আন্দুল রোড হয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছে পাঠানো হচ্ছে। এতে সাঁতরাগাছি ব্রিজের যানজট কমানো যাচ্ছে। কিন্তু, আন্দুল রোডের বেহাল দশার কারণে এই রাস্তা দিয়ে বেশি গাড়ি চালানো যাচ্ছে না। তার ফলে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ নিতে গিয়ে কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে রোজই ব্যাপক যানজট হচ্ছে। মূলত রাতের দিকে পণ্যবাহী গাড়ি কলকাতার দিকে যাওয়ার সময়ই এই সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু আন্দুল রোডের অবস্থা ভালো থাকলে এই যানজট কিছুটা হলেও এড়ানো যেত।