বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বরানগর থেকে শুরু করে বেলঘরিয়া, রথতলা, ডানলপ, কামারহাটি, পানিহাটি, আগরপাড়া, খড়দহ, টিটাগড় এবং বারাকপুরের বহু মানুষ কলকাতায় আসতে গেলে বি টি রোডে বাস ধরতেন। অবস্থানগতভাবে বি টি রোড এবং ট্রেনের এই লাইনটি প্রায় সমান্তরাল। অর্থাৎ কেউ হয়তো বাড়ি থেকে বেরিয়ে কিছুটা হাঁটলে বি টি রোড পেয়ে যান, কেউ সেখান থেকে অটো বা টোটো ধরলে মিনিট দশেকের মধ্যে রেল স্টেশনও পৌঁছে যেতে পারবেন। দু’টো সুযোগই খোলা থাকত মানুষের জন্য। যে যাঁর সুবিধেমতো তা ব্যবহার করতেন। টালা ব্রিজে বাস চলাচল বন্ধ হওয়ার পর যে পরিবর্তিত রুট দেওয়া হয়েছে, তাতে একদিকে যেমন সময় বেশি লাগছে, তেমনই ইতিমধ্যে বসে গিয়েছে অনেক বাস। পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে বি টি রোড দিয়ে চলা ন’টি রুটের প্রায় ৩৫০ বাস বসে গিয়েছে। কোনও কোনও বাস পরিবর্তিত রাস্তা দিয়ে ঘোষিত গন্তব্য পর্যন্ত যাচ্ছেই না। উৎসবের মরশুম শেষ হয়ে আফিসকাছারি পুরোদমে চালু হলে পরিস্থিতি যে খুব ঘোরালো হবে, তা বলা বাহুল্য।
পানিহাটির সাহাবাগান থেকে খান্নার মোড়ে অফিস করতে আসেন তন্ময় বিশ্বাস। তিনি বলেন, এতদিন তো বাসেই যাওয়া-আসা করেছি। কিন্তু এখন যে বাসও অনেক চলছে না। আর যা চলছে, তাতে পৌঁছতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা দেরি হয়ে যাচ্ছে। বুধবার থেকে ট্রেনেই যাব ভাবছি। বেলঘরিয়ার যতীন দাস নগরের বাসিন্দা রামচন্দ্র পোদ্দার দমদমে এসে মেট্রো ধরে চাঁদনি চকে নেমে অফিস করেন। তিনি বলেন, এমনিতে এখন অফিসটাইমে বেলঘরিয়ায় দু’তিনটি ট্রেন ছেড়ে দেওয়ার পর কোনওরকমে উঠতে পারি। ভিড় যেভাবে বাড়বে শুনছি, কীভাবে যে অফিস যাব ভেবেই ভয় করছে। সোদপুর এলাকার বাসিন্দা নির্মল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ট্রেনের সংখ্যা কিছু না বাড়ালে কী যে হবে! পরে তাঁর স্বগতোক্তি, সকালে তো প্রায় ১০ মিনিট অন্তর একটা করে ট্রেন আসে। কীভাবেই বা বাড়াবে আর! ব্যস্ত সময়ে দমদমে ট্রেন ঢোকার প্ল্যাটফর্ম না মেলায় অনেক ট্রেনকেই ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় সিগন্যালে। ট্রেন বাড়ালে এমন ঘটনাও বাড়বে বলে জানিয়ে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবুও তিনটি চক্ররেল বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু তাতে এই বিশাল সমস্যার কতটুকু মিটবে, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই।