বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সম্প্রতি ওই জেলে নানা অপরাধমূলক কাজকর্ম বেড়ে চলার অভিযোগ আসছিল বিভিন্ন মহল থেকে। এই জেল থেকেই তোলা চেয়ে এক ব্যবসায়ীকে হুমকি দেওয়া হয়। সেলে অবাধে চলছিল মোবাইল ফোনের ব্যবহার, মদ, গাঁজা খাওয়া সহ নানা অপরাধ। তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে শোরগোলও সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে পুলিস ও জেলের কর্তারা জেলের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন। তদন্তে তাঁরা জানতে পারেন, জেলের দক্ষিণ দিকে পুকুরের যে পথটি গিয়েছে পাদরিহাটার দিকে, সেই পথেই রয়েছে একটি পরিত্যক্ত কানাগলি। সেই পথটিকেই জেলে প্রবেশ করার ‘করিডর’ হিসেবে ব্যবহার করছে বহিরাগত কিছু অপরাধী। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, মোটা টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড প্রভৃতি ওই অপরাধীরা জেলে বন্দিদের কাছে পৌঁছে দিত। তা আটকাতেই ওই কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগ নেয় জেল কর্তৃপক্ষ। শনিবার জেল সুপার জানান, ওই পথে যাতে আরও জোরালো আলোর ব্যবস্থা করা হয়, তার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। জেল সুপার বলেন, পুলিস পিকেট উঠে গেলেও সেখানে রাতের দিকে মোতায়েন থাকবে কারারক্ষী বাহিনী। এছাড়া সেখানে টহল দেবে স্থানীয় থানার পুলিসও। কিন্তু বছরের পর বছর কেটে গেলেও কেন ওই অপরাধপ্রবণ এলাকায় ওই গেট বসানো হল না? উত্তরে জেল সুপার বলেন, আগে কেন সেখানে ওই গেট বসানো হয়নি, সেটা বলতে পারব না। তবে বিষয়টি নজরে আসার পরই ওই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায়, সংশোধনাগারে অপরাধমূলক কাজকর্ম রোখা এর ফলে অনেকটাই সম্ভব হবে।