কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, একইরকমের গাছ পুঁতে নিছক বনসৃজনই নয়, ‘মিয়াওকি মেথড’ অনুযায়ী ফুল-ফলের নানা গাছ লাগিয়ে প্রকৃত অর্থে ‘জীব বৈচিত্র্য’ সংরক্ষণই হবে এই জঙ্গল তৈরির লক্ষ্য। মিয়াওকি মেথড অনুযায়ী গাছের চারা দ্রুতহারে ১০ গুণ বৃদ্ধি পায়। আর এতে যে জঙ্গল তৈরি হয়, তা সাধারণ বনসৃজনের তুলনায় ৩০ গুণ ঘন হয়। রোপণের মাত্র ছ’-সাত মাসের মধ্যে জঙ্গলের আকার আসে। তার আরও এক-দেড় বছরের মধ্যে পরিপূর্ণ একটি জঙ্গল তৈরি হয়ে যায়। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের কমিশনার দিব্যেন্দু সরকার বলেন, আকিরা মিয়াওকি মেথডে নানা প্রজাতির গাছগাছালিতে ভরা সম্পূর্ণ একটি জঙ্গল তৈরির উদ্যোগ রাজ্যে এই প্রথম। শিবগঞ্জের পাইলট প্রজেক্টে সাফল্য এলে রাজ্যের ১২টি জেলায় একটি করে জঙ্গল তৈরি করা হবে। তারপর ধাপে ধাপে তা ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে। দিব্যেন্দুবাবুর কথায়, ‘মিয়াওকি মেথড’ প্রয়োগ করে শহর এলাকাতে ‘আরবান ফরেস্টি’ প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে। পরিবেশ রক্ষা এবং কার্বণ নিঃসরণ প্রতিহত করতে এহেন জঙ্গল অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
হাওড়া জেলা (গ্রামীণ) তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক পুলক রায় বলেন, পরিবেশরক্ষা এবং সবুজায়নে রাজ্যে বড়সড় উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জল সংরক্ষণ এবং সবুজরক্ষায় সম্প্রতি পদযাত্রাও করেছেন তিনি। জঙ্গল তৈরির এই উদ্যোগ যাতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তার জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শিবগঞ্জে ‘মিয়াওকি মেথড’ অনুসরণ করে বনসৃজন তারই অঙ্গ। দপ্তরের কমিশনার দিব্যেন্দুবাবু বলেন, জল সংরক্ষণ এবং পরিবেশ রক্ষার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ ইতিমধ্যেই একটি প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে রূপায়ণ করা হচ্ছে। সেটি হল ‘উষার মুক্তি’। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের নদীগুলির পুনরুজ্জীবন এবং সবুজ সংরক্ষণ এই প্রকল্পের লক্ষ্য। এবার ‘জঙ্গল’ তৈরির পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হলে, সামগ্রিকভাবে পরিবেশরক্ষার ক্ষেত্রে বড়সড় পদক্ষেপ করা যাবে।