পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুরসভার কমিশনার তথা প্রশাসক স্বপনকুমার কুণ্ডু বলেন, ঠিক কতটা আবর্জনা শহর থেকে পাওয়া যাবে তার জন্যে সমীক্ষা করা হচ্ছে। সমীক্ষকরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে জৈব, অজৈব, পরিবেশে মিশে যাবে বা যাবে না এই ধরনের পৃথক পৃথক উপাদান সম্পর্কেও তথ্য নেওয়া হবে। যাতে আবর্জনা সংগ্রহ ও সংগৃহীত আবর্জনা প্রক্রিয়াকরণে কোনও ত্রুটি না থাকে। ইতিমধ্যেই আমাদের ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি ও বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহ নিয়ে অন্যান্য প্রস্তুতিও দ্রুততার সঙ্গে চলছে।
চলতি বছরের জুলাই মাসে চন্দননগর পুরসভা শহরের ৩৩টি ওয়ার্ডেই বাড়ি বাড়ি ময়লা সংগ্রহ ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মোতাবেক প্রস্তুতিও শুরু হয়। কারণ, রাজ্যের প্রথম পুরসভা হিসাবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দিয়ে ওই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির প্রশিক্ষণের কাজও পুরসভা সেরে ফেলেছে। এরপর পুজোর আগে পুরসভার সাফাই বিষয়ক বিশেষ টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের একটি বৈঠক হয়। সেখানেই ঠিক কত পরিমাণ আবর্জনা শহর থেকে মিলতে পারে তা খতিয়ে দেখে তবেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকাঠামো তৈরির সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশ মেনেই এবার শহর জুড়ে সমীক্ষায় নামছে পুরসভার কর্মীরা।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কাজেও মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকেই ব্যবহার করা হবে। সমীক্ষার জন্যে বিশেষ প্রশ্নমালা তৈরি করে তা দিয়ে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষকদের লক্ষ্মীপুজোর পর থেকেই পাঠানো শুরু হবে। পুরকর্তারা জানিয়েছেন, চন্দননগর শহরকে পরিষ্কার রাখতে যে পরিকল্পনা করা হয়েছে তাতে উৎস থেকে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্যকে পৃথকভাবে সংগ্রহ করা হবে। ফলে পরিবার পিছু কী ধরনের বর্জ্য কতখানি তৈরি হয় তা জানা আবশ্যক। আবার সার্বিকভাবে সংগৃহীত বিভন্ন ধরনের বর্জ্যের পরিমাণ জানা থাকলে তাবেই প্রক্রিয়াকরণ ও প্রয়োজনীয় ডাম্পিং গ্রাউন্ড পরিকাঠামো তৈরি করা সম্ভব। ফলে দ্রুত সমীক্ষার কাজ শুরু করে দিতে চাইছে পুর কর্তৃপক্ষ।