পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
একই সঙ্গে কুলিয়া সেতুর জন্য মাটি পরীক্ষা আগামী সপ্তাহে করা হবে বলে পূর্ত দপ্তরের কর্তারা জানিয়েছেন। গত মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাওড়ায় শরৎ সদনে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে কুলিয়া ব্রিজের কাজ দ্রুত করার জন্য পূর্ত দপ্তরকে নির্দেশ দেন। তারপরই এখানে মাটি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাকসি ব্রিজ বন্ধ থাকার কারণে আমতা-২ ব্লকের একটি অংশ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে ছিল। ২০০৭ সালের বন্যার পর সেতুটির একাংশ বসে যায়। তারপর থেকে ভারী যান চলাচল বন্ধ ছিল। এখন বাস ও মাঝারি ভারী পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এর ফলে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন।
২০০৬ সালে কুলিয়া ব্রিজ তৈরি করা হয়। কিন্তু, পরের বছর বন্যায় ওই ব্রিজের একাংশ বসে যায়। তার ফলে ভারী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কুলিয়া থেকে বাসে সরাসরি কলকাতা যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যায়। শুধুমাত্র অটো ও ট্রেকার চলাচল করত। কিন্তু, গত এপ্রিল মাসে পূর্ত দপ্তরের কর্তারা এই সেতু পরীক্ষা করে তা পুরোপুরি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। সেইমতো পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুর কাজ করা হয়। ৩৫২ মিটার লম্বা গাইঘাটা খালের উপর এই সেতুর ৪৮টি গার্ডার পরিবর্তন করা হয়েছে। এছাড়া মাঝের দু’টি পিলারের কংক্রিটের ঢালাই দূর্বল হয়ে পড়েছিল। সেগুলি নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। বাকসি সেতুর ওপারে কুলিয়া, ভাটোরা, ও চিৎনানা এলাকার প্রায় ৭০ হাজার মানুষ বসবাস করেন। সেতুর কাজ দ্রুত করার জন্য স্থানীয় লোকজন বহুবার পঞ্চায়েত সমিতির কাছে দাবি করেছেন। এমনকী, কুলিয়া থেকে সরাসরি বাস যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লোকজনকে ট্রেকারে করে বাগনান আসতে হত। সেখান থেকে ট্রেন বা বাসে করে কলকাতা পৌঁছাতে হত। কিন্তু, এবার সরাসরি কুলিয়া থেকে কলকাতার বাস চালানো সম্ভব হবে।
পূর্ত দপ্তর ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্তারা বলেছেন, কুলিয়া ব্রিজের কাজ হয়ে গেলে হুগলির খানাকুল এলাকার সঙ্গে যোগাযোগও আরও ভালো হবে। এখন অনেকেই খানাকুলের দিক থেকে নদী পার হয়ে কুলিয়া এসে সেখান থেকে বাগনান হয়ে বাস বা ট্রেনে কলকাতা যান। কারণ, আরামবাগের দিক থেকে তাঁদের কলকাতা পৌঁছাতে যে সময় লাগে, তার চেয়ে অনেক কম সময়ে তাঁরা কলকাতা পৌঁছাতে পারেন। তাই কুলিয়া সেতু নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে আমতার বিধায়ক অসিত মিত্র মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার করেন। তারপর মুখ্যমন্ত্রী এই ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পূর্ত দপ্তরের অফিসারদের নির্দেশ দেন। সেইমতো পূর্ত দপ্তর আগামী সপ্তাহেই কুলিয়া সেতুর জন্য মাটি পরীক্ষার কাজ করবে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু করার লক্ষ্য নিয়েছে।