রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
ঠিক হয়েছে, বেলগাছিয়া ব্রিজের উপরের পিচের আস্তরণ তুলে ফেলা হবে। তাহলে কিছুটা হলেও ব্রিজের ওজন কমবে। এমনকী চাপ কমাতে ট্রাম লাইনও তুলে ফেলার কথা ভাবা হচ্ছে। কয়েক মাস আগেই ট্রাম লাইন সারানো হয়। মাঝেরহাট ব্রিজে ভার না কমানোর জন্যই বিপত্তি হয়েছিল। তাই সব ব্রিজ নিয়েই সতর্ক রাজ্য সরকার। দুর্ঘটনা কমানোর জন্য উড়ালপুলে ক্র্যাশ ব্যারিয়ার তৈরি হয়েছিল। তা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রেলের অধীনস্থা সংস্থা রাইটসকে দিয়ে বেলগাছিয়া ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছে পূর্ত দপ্তর। এই ব্রিজের পিলারে আগাছা জন্মেছে। তা পরিষ্কার করে রক্ষণাবেক্ষণের উপর জোর দিয়েছে রাইটস। তবে টালা ব্রিজের মতো বেলগাছিয়া ব্রিজ ততটা বিপজ্জনক নয়। কলকাতা ট্রাফিক পুলিসের পক্ষ থেকে রাইটসের কাছে এই ব্রিজের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। রাইটস-এর কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন ডিসি ট্রাফিক পাণ্ডে সন্তোষ। টালা ব্রিজের মতো এই ব্রিজেরও দায়িত্বে পূর্ত দপ্তর।
টালা ব্রিজকে ভেঙে ফেলা উচিত বলে ব্রিজ বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়না সুপারিশ করায় ওই ব্রিজে গাড়ি চলাচল অনেকটাই কমে গিয়েছে। ছোট গাড়ি চলার অনুমতি থাকলেও অনেক গাড়ির চালক পাইকপাড়া, বেলগাছিয়া ব্রিজ, চিৎপুর লকগেট ব্রিজ হয়ে ঘুরে যাচ্ছেন। বাসগুলি ঘুরিয়ে দেওয়ায় অবশ্য বাসযাত্রীদের অসুবিধার মধ্যেই পড়তে হচ্ছে। সমস্যায় পড়ছেন বাসচালকরাও। টালা ব্রিজের প্রকৃত অবস্থা কী, জানতে কংক্রিটের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
রেল লাইনের উপরের অংশের কংক্রিটে বড় ত্রুটি রয়েছে। এমনকী লোহাও দুর্বল হয়ে পড়েছে। যে সব জায়গায় ত্রুটি বেশি, সেই সব জায়গা আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়েছে। রেললাইনের উপরের অংশই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই রিপোর্ট নিয়ে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ২০ পাতার রিপোর্টের প্রতিটি সুপারিশ খতিয়ে দেখা হয়। এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।