কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বরানগর পুরসভার আলমবাজারে পাম্পিং স্টেশন রয়েছে। এই পাম্পিং স্টেশন থেকে বরানগরের বেশ কিছু ওয়ার্ডে নলবাহিত জল সরবরাহ হয়। তবে গত কয়েক দিন হল ৮, ৯, ৭, ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে পরিষ্কার জল সরবরাহ হচ্ছে না। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘোল জল আসছিল। যা খাওয়া যাচ্ছিল না। ফিল্টার লাগিয়ে পরিষ্কারের পর তা খেতে হচ্ছিল। এখনও পুরো পরিষ্কার জল আসছে না। ৮ নম্বর ওয়ার্ড বস্তি এলাকা। এখানে দরিদ্র মানুষের বসবাস বেশি। বাসিন্দারা বলেন, অনেকের সামর্থ নেই ফিল্টার কেনার। বাধ্য হয়ে ঘোলা জলই পান করতে হয়েছে। তবে দু’দিন হল কিছুটা উন্নতি হয়েছে। অনেকটা পরিষ্কার জল সরবরাহ হচ্ছে। এই ওয়ার্ডেরই এক বাসিন্দা বলেন, কাচের মতো স্বচ্ছ জল আগে আসত। সেই জল এখন আর আসছে না।
একটি সূত্রের খবর, মহামিলন মঠের কাছে পাইপ ফেটে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। ওই ফাটা পাইপের কারণে জল ঘোলা হয়ে পড়ে। পাইপ মেরামতি না করলে এই সমস্যা মিটবে না। যদিও পুরসভার এক কর্তা বলেন, মহামিলন মঠের কাছে পাইপ ফাটার কোনও খবর নেই। পাইপ ফেটে থাকলে সেখান থেকে জল বের হত। জল বের হয় না।
এ নিয়ে অনেকে চক্রান্তের অভিসন্ধি দেখছেন। তাঁদের বক্তব্য, পুরসভার নলবাহিত পরিষ্কার জল সরবরাহ হলে জলের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের ব্যবসা লাটে উঠবে। ঘোলা জল বা পরিষ্কার নয়, খাবার অযোগ্য এমন জল সরবরাহ হলে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা রমরমা বাড়ে। এখনও এই জলের ব্যবসার রমরমা রয়েছে। ২০ লিটারের জারের জল ৩০ বা ৪০ টাকা দাম পড়ে। ব্যবসায়ীরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ওই জল পৌঁছে দেন। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাঙের ছাতার মত এই কারবার গজিয়ে উঠেছে। অভিযোগ, সরকারি অনুমোদন ছাড়াই বেশিরভাগ ব্যবসায়ী এই কারবার চালাচ্ছেন। ভূগর্ভস্থ জল তোলা নিয়েও বৈধ অনুমোদন নেই অনেকের।