কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আমতা ২ নং ব্লকের খালনা গ্রামে প্রায় ২০ হাজার মানুষের বসবাস। জেলার শেষ প্রান্তে অবস্থিত এই গ্রামের লক্ষ্মী পুজোর খ্যাতি রাজ্য জুড়ে। সারা বছর নানা দেবদেবীর পুজো হলেও লক্ষ্মী পুজো খালনা গ্রামের পুজো। থিম থেকে সাবেকিয়ানা— চোখ ধাঁধানো মণ্ডপসজ্জা থেকে প্রতিমা দর্শন করতে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী লক্ষ্মী পুজোর দিন ভিড় জমান খালনা গ্রামে। অবশ্য শুধু একদিন নয়, তিনদিন ধরে চলা গ্রামের এই উৎসবের শেষে তিনটি জায়গার লক্ষ্মী প্রতিমাকে এক জায়গায় জড়ো করে কার্নিভালেরও ব্যবস্থা করা হয়। বাগনান-জয়পুর রাস্তার খালনার মোষগলি থেকে গড়ামোষ পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তার দু’ধার মিলিয়ে প্রায় ৭০টি ছোট-বড় সর্বজনীন লক্ষ্মী পুজো হয় এই গ্রামে।
থিমের মোড়কে মোড়া মণ্ডপগুলি একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার জন্য রাত জেগে কাজ করে চলেছে পুজো কমিটিগুলি। যেমন খালনার খুদিরায়তলার কোহিনুর ক্লাব। ১৫০ বছরে পদার্পণ করা এই পুজো কমিটির এবারের থিম দূষণ-উষ্ণায়ন আর নয়, হোক সবুজের জয়— মিতালী সঙ্ঘ এবার তাদের মণ্ডপ সাজিয়ে তুলেছে নেপালের বৌদ্ধ মন্দিরের আদলে। অন্যদিকে, খালনা রাজবংশীপাড়ার এবারের থিম কালীয় দমন, খালনা আমরা সকল সঙ্ঘের থিম বল্লাল সেনের ঢিবি।
খালনা গ্রামের লক্ষ্মী পুজো সম্পর্কে বিধায়ক অসিত মিত্র বলেন, প্রায় ৩০০ বছর ধরে খালনা গ্রামে লক্ষ্মী পুজো হয়ে আসলেও ১৯৯৬ সাল থেকে গ্রামের এই পুজো প্রচারের আলোয় এসেছে। খালনা গ্রামের লক্ষ্মী পুজোকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকা উৎসবের চেহারা নেয়। উৎসবে শামিল হওয়া মানুষদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই দিনগুলিতে এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিস ব্যবস্থা ছাড়াও দমকলের ব্যবস্থা থাকছে বলে প্রশাসন। পুজোগুলির উৎসাহ বৃদ্ধির জন্য এই বছর থেকে পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।