কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মৃতের নাম রাজু কুর্মী (৩৮)। তাঁর বাড়ি কাঁচরাপাড়ার ভূতবাগান রেল কলোনি এলাকায়। তিনি পেশায় দিনমজুর ছিলেন। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁচরাপাড়ার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের পানবস্তি নেতাজি নগরে দশমীর ভোরে খুব কাছ থেকে বুকে গুলি করা হয়। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁকে রাস্তা থেকে তুলে কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই কিছুক্ষণ পর তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে পিন্টু শর্মা নামে এক যুবককে যেতে দেখেন। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পিন্টু শর্মাই গুলি করে খুন করেছে। স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন হল পিন্টু জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছে। ওর বিরুদ্ধে একাধিক অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও জেল খেটেছে সে।
ঘটনার পর থেকেই ফেরার পিন্টু। এখনও তাকে পুলিস গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তার খোঁজে তল্লাসি চালাচ্ছে পুলিস। পুলিসের একটি সূত্রের খবর, পুরনো শত্রুতার জেরে এই খুন হতে পারে। তবে মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হলে খুনের কারণ স্পষ্ট হবে।
প্রসঙ্গত, এক বছর আগে দশমীর রাতে কাঁচরাপাড়ায় এক শিশুকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। প্রতি বছর এই উৎসব চলাকালীন খুনের ঘটনা ঘটে। এবার যুবক খুনের ঘটনার পর এক বছরের পুরনো স্মৃতি ফের ফিরে এল। বাসিন্দারা বলেন, পুজোর সময় সমাজবিরোধীরা সুযোগে থাকে। কাউকে খুন বা হামলার জন্য এই সময়টাকে বেছে নেয় দুষ্কৃতীরা। পুজোর মধ্যে এই খুনের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বীজপুর থানার পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্ত ধরতে তল্লাশি চলছে।