বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রাক্তন খেলোয়াড় নিমাইবাবু মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনাগ্রস্ত চন্দননগর হাসপাতালে এসেছিলেন রাতে তিনি মারা যান। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অন্তরবিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিবার অবশ্য হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
চন্দননগর থানার পুলিস জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। হাসপাতাল সুপার জগন্নাথ মণ্ডল বলেন, হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় আমরা অভিযোগ দায়ের করব তার আগে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ওই বিষয়ে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে প্রাথমিকভাবে আমি নিজে ঘটনা খতিয়ে দেখেছি। ওই রোগীর চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি ছিল না। তবুও মৃত ওই রোগীকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিবার হাসপাতালের ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি এই ঘটনার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে চিকিৎসা গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেছে।
স্থান এবং পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দননগরের বাসিন্দা নিমাইবাবু মঙ্গলবার সকালে পথ দুর্ঘটনায় পড়েন। তবে তাঁর আঘাত বিশেষ গুরুতর ছিল না বলে দাবি। সকালেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন ওই রোগীকে চন্দননগর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করেন। এরপর রাত আটটা নাগাদ ওই রোগীর মৃত্যু হয়।
মৃতের আত্মীয়দের দাবি, দু’টি ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই নিমাইবাবুর অবস্থার অবনতি হয় এবং তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষুব্ধ রোগীর আত্মীয় এবং স্থানীয়রা হাসপাতালে ভাঙচুর শুরু করে। একাধিক জানালা-দরজা এবং টেবিল ভাঙচুর করা হয়। অভিযোগ উত্তেজিত জনতা চিকিৎসকদের মারধরের চেষ্টা করে পাশাপাশি মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে অভব্য ব্যবহার করে। এরই মধ্যে একজন স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে বিবাদের জেরে তিনি খারাপ ব্যবহার করেছেন এই অভিযোগে তাঁকে কান ধরে ওঠবোস করা উত্তেজিত জনতা। পরে চন্দননগর থানা থেকে বিরাট পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। মৃতের আত্মীয়দের দাবি, চিকিৎসকরা শুরু থেকেই বলেছিলেন আঘাত গুরুতর নয়। তারপরেও দু’টি ইঞ্জেকশন করা মাত্রই রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এ কারণেই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই রোগীর অনিয়ন্ত্রিত সুগার ছিল। যে কারণে হার্ট অ্যাটাক করাতেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি ওই রোগীকে ব্যথা কমানোর ওষুধ দেওয়া হয়েছিল যা কোনোভাবেই মৃত্যুর কারণ হতে পারে না।