নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কারও বাবা-মা রাস্তায় ফেলে গিয়েছে। কেউ আবার সীমান্ত পেরিয়ে এখানে চলে এসেছে, কিন্তু বাড়ি কোথায় তা জানে না। অন্য কাউকে আবার অসৎ কাজের জন্য বাড়ি থেকে অন্যত্র পাচার করার চেষ্টা করা হচ্ছিল, সেই সময় পুলিস বা প্রশাসন তাদের উদ্ধার করেছে। এরকমই প্রায় ১১০ জন নাবালিকার সঙ্গে পুজোর আনন্দ ভাগ করে নিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তী এবং বিধাননগর মহকুমা শাসক সৈকত চক্রবর্তী। শুক্রবার ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় প্রায় দু’ঘণ্টা সল্টলেকের সুকন্যা হোমের ১১০ জন আবাসিক নাবালিকাদের সঙ্গে সময় কাটালেন তাঁরা। পাঁচ থেকে ১৭ বছর বয়সি এই নাবালিকারা জেলাশাসক এবং মহকুমা শাসকের সামনে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। এছাড়াও এখানকার হোমে থেকে তারা কী কী কাজ শিখছে, তা সকলেই জেলাশাসককে দেখান। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবাসিকদের হাতে নতুন জামা-কাপড় তুলে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার হোমের আবাসিকদের সল্টলেকের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপও ঘুরিয়ে দেখানো হয়েছে।
এদিকে, বিধাননগর কমিশনারেটের উদ্যোগে নিউটাউনের একটি বেসরকারি ক্যান্সার হাসপাতালের ১৫০ জন শিশু ক্যান্সার রোগীকে বিভিন্ন বড় বড় পুজো মণ্ডপ ঘুরিয়ে দেখানো হয়। কমিশনারেটের সাঁঝবাতির উদ্যোগে ৩০০ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকেও বিধাননগরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ ঘুরিয়ে দেখানো হয়। একইভাবে এয়ারপোর্ট থানার উদ্যোগেও ২৫ জন বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন শিশুদের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ ঘুরিয়ে দেখানো হয়েছে।