কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
এদিন সকাল থেকেই হাওড়ার বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে ঠাকুর দেখার ভিড় শুরু হয়ে যায়। কিছু কিছু বড় পুজোয় সকালে রীতিমতো লাইন দিয়ে ঠাকুর দেখতে হয়েছে আমজনতাকে। সন্ধ্যার পর সেই মণ্ডপগুলিতে লম্বা লাইন চোখে পড়ে। হাওড়া শহরের স্বামীজি স্পোর্টিং ক্লাব, শিবাজি পার্ক, বেজপুকুর সর্বজনীন, তরুণ সমিতি, লঞ্চঘাটের কাছে রামকৃষ্ণ স্বামীজি স্মৃতি সঙ্ঘ, বেলগাছিয়া ছাত্র মিলন সঙ্ঘ, মধুসূদন বিশ্বাস লেনের হাওড়া সংসদ, বঙ্কিম পার্ক প্রভৃতি পুজোয় ভিড় উপচে পড়েছে। কেউ টোটো, কেউ বা নিজস্ব গাড়িতে ঘুরে ঠাকুর দেখেছেন। আবার হেঁটেও এই মণ্ডপ থেকে সেই মণ্ডপে যাওয়ার দর্শনার্থীর সংখ্যা যথেষ্ট বেশি। এদিন বেলা ১১টা থেকেই লোকজন পথে নামতে শুরু করে। তারপরই মণ্ডপগুলিতে ভিড় শুরু হয়ে যায়। দুপুরের দিকে বিভিন্ন বড় রেস্তরাঁয় রীতিমতো লাইন পড়ে যায়।
দু’দিন আগে ভয় দেখালেও ষষ্ঠীতে হুগলিতে আকাশ একেবারে কপিবুক শারদীয়া আকাশ। আর তারই জেরে ষষ্ঠীর বোধনের সঙ্গে পুজো দেখার বোধনও হয়ে গেল। উৎসাহী জনতা ইঙ্গিত দিচ্ছিল চতুর্থী থেকেই। ষষ্ঠীতে সেটাই বাঁধভাঙা কলরব হয়ে শহর থেকে গ্রামের রাস্তায় নেমে পড়ল। শুক্রবার দুপুর থেকেই প্রতিমা দর্শনের ঢল নামে হুগলিতে। জেলা সদর চুঁচুড়া থেকে শিল্পাঞ্চল শ্রীরামপুর, ডানকুনি, ব্যান্ডেল, ঐতিহাসিক জনপদ বলাগড়, গুপ্তিপাড়া, চন্দননগরের পথে মানুষের অবিন্যস্ত পদচারণা নজরে পড়েছে। প্রতিমা দর্শনের মেজাজ ঠাহর করা গিয়েছে, লোকাল ট্রেনের বিপুল ভিড় থেকে টোটো চালকদের ব্যস্ততায়। যত সময় গড়িয়েছে রাস্তার দখল নিয়েছে কালো মাথা। এদিন দুপুরে চুঁচুড়া, শ্রীরামপুর, ডানকুনির, কোন্নগরে বয়স্কদের ভিড় দেখা গিয়েছে।
ষষ্ঠীতেই জনতা জনার্দনের বিপুল উৎসাহ হাসি চওড়া করেছে পুজো উদ্যোক্তাদেরও। ব্যস্ততার বহর দেখা গিয়েছে নতুন গজিয়ে ওঠা অস্থায়ী ফাস্টফুডের দোকান থেকে স্থায়ী রেস্তরাঁগুলিতে। চুঁচুড়ার অনেক রেস্তরাঁয় ষষ্ঠী থেকে পুজো স্পেশ্যাল খানার আয়োজন যেমন করেছে, তেমনি বাড়ানো হয়েছে দামও। কিন্তু হুজুগে বাঙালির মরশুমি উৎসাহ তাতে দমে যায়নি।
পুজোকে কেন্দ্র করে যানযট শুরু হয়েছিল পঞ্চমী থেকেই। শুক্রবার জনপ্লাবনে তা আরও জটিল হয়েছে। চুঁচুড়ার কেন্দ্রীয় পুজো কমিটির সম্পাদক তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন, জনতার এই উৎসাহ খুবই আনন্দদায়ক। আকাশের মুখ যে কোনও সময় ভার হতে পারে ভেবেই হয়তো ষষ্ঠীর নির্মেঘ আকাশ ভিড়ের বহর বাড়িয়েছিল।