কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বলরাম মল্লিক ও রাধারমন মল্লিক এবার নজর কাড়তে চলেছে সল্টেড ক্যারামেল সন্দেশকে সামনে এনে। চড়া মিষ্টি এড়িয়ে চলার বাতিক যাঁদের, তাঁদের জন্য এ এক অনন্য স্বাদ, দাবি এখানকার অন্যতম কর্ণধার সুদীপ মল্লিকের। তিনি বলেন, এই সন্দেশে মিষ্টত্ব কম, এমনটা নয়। ক্যারামেল মানে তো পোড়া চিনি। তাই তাতে মিষ্টি যথেষ্ট আছে। তার সঙ্গে এমন পরিমাণে নুন মেশানো হয়েছে, যা জিভকে অন্য অনুভূতি দেবে। দাম ২৫ টাকা। আছে আতার শাঁসে তৈরি সীতাফল সন্দেশ। দাম ৩০ টাকা। এবার বলরামে থাকছে ব্লু বেরি’র শাঁস থেকে তৈরি দই। ৩০ টাকার ভাঁড়ে চমৎকার ফিউশন।
অবাঙালিদের প্রিয় মিষ্টি ‘শাহি টুকরা’ তৈরি হয় পাউরুটি দিয়ে। এবার বাঙালিদের জন্যও সেই পাউরুটিকে অবলম্বল করেছে রসগোল্লার কাণ্ডারী কে সি দাশ। ২০ টাকার নবশ্রীতে পাউরুটির মধ্যে পুরে দেওয়া হয়েছে ক্ষীর, জাফরান আর পেস্তা। তাকেই রাঙা করে ভেজে, ছেড়ে দেওয়া হয়েছে রসে। একেবারে নতুন স্বাদ। এখানকার কর্ণধার ধীমান দাশের কথায়, আমরা যে ‘ত্রিনয়নী’ এনেছি, তা আসলে রসের মিষ্টি হয়েও, গড়ন সন্দেশের। স্ট্রবেরি, চকোলেট আর জাফরানে রাঙানো সেই সন্দেশের চোখ তৈরি হয়েছে ক্ষীর আর এলাচ দিয়ে। দাম ২৫ টাকা। আছে ঠান্ডাই দিয়ে তৈরি মালাই। রসমালাইয়ের মতো পরিচিত মিষ্টিকে গড়া হয়েছে ঠান্ডাই দিয়ে। তার দাম ৩০ টাকা। এবার পুজোয় লুচি, ছোলার ডাল, আলুর দম আর বেগুনভাজায় থালা সাজিয়েছে কে সি দাশ। দাম ৬০ টাকা।
হিন্দুস্থান সুইটসে এবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মহাযজ্ঞ। এখানে সুগার ফ্রি মিষ্টি তৈরি হয়েছে থানকুনি পাতার রসে। ‘স্টেভিয়া’ পাতায় যে পরিমাণ মিষ্টি থাকে, তা চিনির থেকে ৩০০ গুণ বেশি, জানাচ্ছিলেন এখানকার কর্ণধার রবীন্দ্রকুমার পাল। সেই স্টিভিয়া থেকেই তৈরি হচ্ছে সন্দেশ। আছে অ্যালোভেরার রসে তৈরি ঘৃতকুমারী সন্দেশ। দাম ১৬ টাকা। আছে মধু দিয়ে তৈরি মধুপর্ক। তার দামও ১৬ টাকা। অমৃতকুম্ভ থাকছে ৩০ টাকায়। আর আছে মহাশঙ্খ। ১০০ টাকা। রবীন্দ্রবাবুর কথায়, একমাত্র রাক্ষস ছাড়া একজন মানুষ একটা সন্দেশ খেয়ে উঠতে পারবেন না। চ্যালেঞ্জ!
রিষড়ার ফেলু মোদকে এবার কোহিনূর সন্দেশের পেটে থাকবে নারকেল, চিরঞ্জি দানা আর শসার বীজ। দাম ১৫ থেকে ৩০ টাকা। রোজ ক্রিম সন্দেশে আবার হাল্কা ক্রিমের ছোঁয়া মিলবে। সঙ্গে গোলাপের খুশবু। দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা। চিরাচরিত রসমালাইকে এখানে নতুন করে গড়া হয়েছে অ্যামন্ড, কেশর আর পেস্তায়। মালাই চমচম অনেকেরই পছন্দের মিষ্টি। চমচমকে মোটা দুধে চুবিয়ে, উপরে ক্ষীর ছড়িয়ে, তাকে ‘বেক’ করা হয়েছে। ২৫ টাকার এই মিষ্টিতে থাকছে অভিনবত্বের ছোঁয়া। এখানকার কর্ণধার অমিতাভ দে’র কথায়, আমরা এবারের পুজোয় যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছি লবঙ্গ লতিকা বা ছানার মুড়কির মতো চিরাচরিত মিষ্টিকেও।
হাওড়ার প্রসিদ্ধ ব্যাতাই মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের বাজি চকোলেট মনোহরা। এখানকার কর্ণধার সৈকত পাল বলেন, পুজো তো বাংলার চিরন্তনী উৎসব। সেখানে যে সাবেকি মিষ্টি দিয়ে এতদিন উৎসবের উদযাপন হয়ে এসেছে, আমরা তাকেই ফিরিয়ে আনছি নতুন রূপে। আমরা যখন আনারসের তোতাপুলি এনেছিলাম, ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলাম। এবার আনছি মনোহরা, একেবারে নতুন ঢঙে। ছানা ও চকোলেটকে একসঙ্গে মেখে, তাকে রসে ফোটানো হয়েছে। সেই মিষ্টিকেই আবার সাদা চকোলেটে মাখানো হয়েছে। মিষ্টিতে কামড় বসালে, সাদা চকোলেটের গা বেয়ে গড়িয়ে আসবে ডার্ক চকোলেট। ২০ টাকার মিষ্টি চেনাবে নতুন স্বাদ। আর আছে কলসি দই। যেভাবে চিরাচরিত পদ্ধতিতে দই পাতা হয়, এটি তার চেয়ে একেবারে আলাদা। তবে রেসিপি খোলসা করতে চাননি সৈকতবাবু। এতে দইয়ের স্বাদ কতটা বদলাবে, তা ক্রেতারা চেখে বুঝবেন, দাবি তাঁর। আর আছে পুদিনার রসগোল্লা। রেস্তরাঁয় কব্জি ডুবিয়ে খাওয়ার পর এই রসগোল্লা খেলে বদহজম পালাবে, দাবি সৈকতবাবুর। এবারও অষ্টমীকে গেরস্তের হেঁশেল বন্ধ রাখার উপায় বের করেছেন তাঁরা। দেড়শো টাকার প্যাকেজে থাকবে লুচি, ডাল, ভেজিটেবল চপ, আলুর দম, পনির, আমআদা আর পেঁপের চাটনি আর একটি স্পেশাল মিষ্টি। নিরামিষ প্যাকেজে টইটুম্বর বাঙালিআনা।