রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
ষষ্ঠীর দিন থেকে শহরের রাস্তায় অটো চলাচলে কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে পুলিসের তরফে। তাতে বলা হয়েছে, বিকেল চারটের পর থেকে পরের দিন ভোর চারটে পর্যন্ত অটো চালানো যাবে না। এর প্রতিবাদেই বৃহস্পতিবার আন্দোলনে শামিল হন প্রায় দেড় হাজার অটো চালক। পুলিস বুঝে ওঠার আগেই তাঁরা উল্টোডাঙায় রাস্তায় অটো দাঁড় করিয়ে দেন। জড়ো হন রাস্তার উপর। ভিআইপি রোডের মুখ পর্যন্ত চলে আসেন তাঁরা। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ অবরোধ শুরু হয়। ব্যস্ততম রাস্তা দিয়ে একাধিক সরকারি -বেসরকারি বাস ও ছোটবড় গাড়ি যাতায়াত করে। আচমকা এই ঘটনার জেরে উল্টোডাঙা মেন রোড এবং ভিআইপি রোডে গাড়ি চলাচল প্রথমে শ্লথ হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এই রাস্তা সহ অন্যান্য জায়গা। খবর পেয়ে উল্টোডাঙা থানা ও স্থানীয় ট্রাফিক গার্ডের অফিসাররা আসেন। পুলিসের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন অটো চালকরা। তাঁদের বক্তব্য, এই নিষেধাজ্ঞার জেরে তাঁদের রুটিরুজিতে টান পড়বে। পুজোর সময় আর্থিক ক্ষতি হবে। সময়সীমা কমানোর দাবি করা হয়। তাঁদের বক্তব্য, অন্য যান চলাচলের ক্ষেত্রে যদি নিষেধাজ্ঞা না থাকতে পারে, তাহলে কেন অটোর ক্ষেত্রে তা আরোপ করা হবে। ঘণ্টাখানেক পর অবরোধ ওঠে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগুইআটি রুটের অটো চালকরাই প্রথমে অবরোধ শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁদের সঙ্গে আন্দোলনে শামিল হন শোভাবাজার, সল্টলেক, এয়ারপোর্ট সহ অন্যান্য রুটের অটো চালকরা। অটো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। কারণ সল্টলেক সহ উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে যাতায়াতের জন্য অটোই ভরসা যাত্রীদের। অবরোধের জেরে যানজট শুরু হয়ে যায়। উত্তর কলকাতার একদিকে শোভাবাজার মোড়, অন্যদিকে মানিকতলা ছাড়িয়ে যানজটের প্রভাব গিয়ে পড়ে বিবেকানন্দ রোড, এপিসি রোড, বিধান সরণী ও শিয়ালদহের মতো ব্যস্ত এলাকায়। এমনকী ভিআইপি রোডের মতো রাস্তাও অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। লেকটাউনের আগে থেকেই গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। বাইপাসের যে অংশ থেকে রাস্তা উল্টোডাঙার দিকে আসছে, সেখানেও গাড়ির লম্বা লাইন দেখা যায়। দীর্ঘ সময় গাড়ি বা বাসে আটকে পড়েন কাজে বেরনো মানুষজন। পুলিস এসে আশ্বাস দেয়, নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিষয়টি তারা ভাবনাচিন্তা করছে। বুঝিয়েসুজিয়ে অবরোধ তোলা হলেও দীর্ঘ সময় পর্যন্ত গাড়ির গতি কমই ছিল। ১০ মিনিটের পথ পেরতে সময় লাগে আধ ঘণ্টা। বিকেলের দিকে শেষ মুহূর্তে পুজোর কেনাকেটা, অন্যদিকে ঠাকুর দেখতে লোকজন বেরিয়ে পড়ায় উত্তর কলকাতার একাধিক রাস্তাতেই গাড়ি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশ শ্লথ গতিতেই চলেছে দীর্ঘক্ষণ।