নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: আজ মহাষষ্ঠী। বাঙালির এই শ্রেষ্ঠ উৎসবে হাওড়ায় দেবী দুর্গার আরাধনাকে কেন্দ্র করে মণ্ডপে মণ্ডপে থিমের ছড়াছড়ি। পারিবারিক পুজোও রয়েছে আচার ও রীতি মেনে। তবে হাওড়ার গ্রামাঞ্চলে যে শ’পাঁচেক সর্বজনীন পুজো হয়, তার মধ্যে একমাত্র জয়পুরেই দেবী দুর্গার সঙ্গে পূজিত হন রাম, হনুমান ও জাম্বুবান। আর পাঁচটা মণ্ডপে যেমন দশভুজা দুর্গার পাশাপাশি কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী ও সরস্বতী পূজিত হন, এখানে তা হয় না। এখানে দেবী দুর্গা একাই রামের কাছ থেকে পুজো গ্রহণ করছেন, এমনই রামায়ণের অরণ্য কাণ্ডের চিত্রকল্পে। পুজোর রীতি অনুযায়ী রাম, লক্ষ্মণদের সঙ্গে, হনুমান ও জাম্বুবানের পুজোও করতে হয় বলে জানিয়েছেন এই পুজোর পুরোহিত সমীর চক্রবর্তী।
জয়পুর কল্যাণ সমিতির সম্পাদক সুব্রত করাতি বলেন, আটষট্টি বছর ধরে একই আঙ্গিকে পুজো হয়ে আসছে। আসলে এই পুজো দেবীর অকাল বোধন। অকাল বোধন করে রাম রাবণকে পরাজিত করার জন্য দেবী দুর্গার আশীর্বাদ চেয়েছিলেন। একটি পদ্মের অভাব মেটাতে নিজের চোখ উপরে দিতে গিয়েছিলেন। সেই রূপ কল্পনা করেই পুজো শুরু হয়েছিল। প্রকৃত অকাল বোধনের এই ছবি প্রতিবছরই তুলে ধরা হয় প্রতিমার মাধ্যমে। তাই দেবী দুর্গার সঙ্গে পূজিত হন রাম, লক্ষ্মণ, হনুমান।