পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাম আমলে তৈরি হওয়া উল্টোডাঙা উড়ালপুলে বছর পাঁচেক আগে একটি গার্ডার পড়ে গিয়েছিল। উড়ালপুলটি তৈরি করেছিল সরকার অধীনস্থ সংস্থা ম্যাকিনটোস বার্ন। সেই গার্ডার যে পিলারের উপরে ছিল, সেখানেই ফের ফাটল ধরা পড়ে। মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর শহরের সব ব্রিজ বা উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো কলকাতা, দিল্লি ও মুম্বইয়ের সমীক্ষক সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দিল্লির আইটিএল কোটেক্স সংস্থা জুলাই মাসে এই উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। সেই সময়েই উড়ালপুলের দক্ষিণমুখী তথা গড়িয়াগামী লেনের পিলারে ফাটল ধরা পড়ে। সমীক্ষক সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী দুই লেনেই গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এরপরে ব্রিজ অ্যাডভাইসরি কমিটির সদস্যরা উড়ালপুলের দুটি লেনই পরীক্ষা করেন। তিনদিন পরে বিমানবন্দরগামী লেনটি খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু বন্ধ করে দেওয়া হয় গড়িয়াগামী লেন। উড়ালপুলটির নির্মাণকারী সংস্থা ম্যাকিনটোস বার্নকে ফের মেরামতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। মেরামতির জন্য আড়াই মাসের বেশি উড়ালপুলের গড়িয়ামুখী লেন বন্ধ রাখা হয়। তারপর ফের আইটিএল কোটেক্স সংস্থাকে লোড টেস্ট করতে বলা হয়। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই ব্রিজ অ্যাডভাইসরি কমিটি উড়ালপুলের লেন খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তা কেএমডিএ’কে জানিয়ে দেওয়া হয়। ঠিক হয়, আজ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে গাড়ি চলাচল শুরু হবে।
উল্টোডাঙা উড়ালপুলের একটি লেনে যান চলাচল বন্ধ হওয়ার পর কেষ্টপুর খালের উপরে বেইলি ব্রিজ তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় কেএমডিএ। কিন্তু কোন জায়গায় সেটি করা হবে, তা নিয়ে সমস্যা থাকায় তৈরি হতে অনেক সময় লেগে যায়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সেটির উদ্বোধন করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বুধবার বিকেল থেকে বেইলি ব্রিজ দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে। ফলে ভিআইপি রোড দিয়ে সল্টলেকে ঢোকার আরও একটি পথ চালু হল। এদিকে, খুলে গিয়েছে চেতলা লকগেট ব্রিজও। সেটিতে কিছু ত্রুটি ধরা পড়েছিল। তখন বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছিল ব্রিজ অ্যাডভাইসরি কমিটি। শেষ পর্যন্ত মেরামতি করে চালু করে দেওয়া হল। একমাত্র টালা ব্রিজে তিন টনের বেশি কোনও গাড়ি চলছে না। বাকি সব ব্রিজই খুলে দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।