সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
দুপুর গড়িয়ে সবে বিকেল। তার মধ্যেই হাতিবাগান এলাকার ফুটপাত চলে গিয়েছিল ক্রেতাদের দখলে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই ভিড় নেমে আসে রাস্তাতেও। স্ত্রী ও বৃদ্ধা মাকে নিয়ে একটি শপিং মল থেকে বেরচ্ছিলেন উত্তর শহরতলির এক বাসিন্দা। তিনজনের হাতেই একটি-দু’টি করে প্যাকেট। কেনাকাটা শেষ? প্রশ্ন করতেই ওই ব্যক্তির জবাব, শেষ আর হল কোথায়? টিভির সিরিয়ালে দেখা শাড়ি এখনও হাতে পায়নি স্ত্রী। ফলে আরও কয়েকটি দোকান ঘুরতেই হবে। কথা হচ্ছিল রাস্তার ধারে দোকান পাতা এক পোশাক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তিনি বলেন, বাজারে ভিড় হয়েছে। তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু বিক্রিবাটা তেমন বাড়েনি। তার উপর বৃষ্টির জন্য একটা অনিশ্চয়তা তো থেকেই যাচ্ছে। বৃষ্টি এলে জামা-কাপড় প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দিতে হচ্ছে। আশা করছি, টানা বৃষ্টি হবে না। আগামী রবিবার বিক্রি আরও বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে।
হাতিবাগানের তুলনায় একটু বেশি ভিড় ছিল নিউ মার্কেট চত্বরে। কেবল ফুটপাত নয়, গলি-বড় রাস্তাতেও ছিল জমাট ভিড়। ভিড় ছিল নিউ মার্কেট থেকে শুরু করে এলাকায় থাকা একাধিক শপিং মলেও। নিউ মার্কেট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দেবু ভট্টাচার্য বলেন, বাজারে ভিড় বেড়েছে। কিন্তু জিনিসপত্র বিক্রি কম হচ্ছে। আগে যাঁরা একাধিক পোশাক কিনতেন, তাঁরা এবার অনেকেই একটি-দু’টির বেশি পোশাক কিনছেন না। তার উপর আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা তো রয়েইছে। একটাই রক্ষা, টানা বৃষ্টি হচ্ছে না। আশা করছি, আগামী রবিবার ভিড়ের সঙ্গে বাড়ুক বিক্রিও।
নিউ মার্কেটের ঠিক সামনে একটি খাবারের দোকানে বন্ধুদের নিয়ে বসেছিলেন কলেজ পড়ুয়া তন্ময় পাল। কথায় কথায় জানালেন, পেটপুজো ছাড়া কেনাকাটা জমে? তাই কেনাকাটার পাঠ চুকিয়ে সটান রেস্তরাঁয়। আগে একবার নিউ মার্কেট চত্বরে এসেছিলাম। সেদিন কিছু টুকটাক কেনাকাটার সঙ্গে কেবল জিনিসপত্র দেখা হয়েছে। আজ চুটিয়ে কেনাকাটা হয়েছে। আরও একদিন আসতে হবে। এত ভিড়ে জিনিসপত্র খুঁজে পেতে কিছুটা সমস্যা তো হচ্ছেই। রাস্তার ধারে অস্থায়ী সাজগোজের দোকানে জামার রঙের সঙ্গে মিলিয়ে হার-কানের দুল কিনতে কিনতে এক মহিলা জানালেন, জামা-কাপড় তো আগেই হয়ে গিয়েছে। আজ সাজগোজের জিনিসপত্র কেনার পালা। মানানসই হার কিছুতেই পাচ্ছি না। মনে হচ্ছে, আগামী রবিবার একবার গড়িয়াহাট বা হাতিবাগান চত্বরে যেতে হবে।