সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
হাওড়ার পুলিস কমিশনার গৌরব শর্মা বলেছেন, পুজোয় সব রকম নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সমস্ত থানাকে নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে। পুজো কমিটিগুলির সঙ্গেও আমরা আলোচনা করেছি। পুজোর সময় যে কোনও রকম অপরাধমূলক কাজ রুখতে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। সিটি পুলিসের এক পদস্থ কর্তা বলেছেন, প্রতি বছর বাইক নিয়ে ঠাকুর দেখতে বের হওয়া কিছু যুবক কিশোর ও যুবতীদের শ্লীলতহানি করে ও কটূক্তি করে। সেই কারণেই এই বিশেষ টিম তৈরি করা হয়েছে। ওই টিমের সদস্যরা সকলেই সাদা পোশাকে থাকবেন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০০ জন লেডি কনস্টেবলকে এই বিশেষ টিমে রাখা হয়েছে। এছাড়াও যেমন মহিলা পুলিস বিভিন্ন পুজোমণ্ডপে ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকে, তেমন থাকবেন। ওই বিশেষ টিমের সদস্যরা সকলে নিজস্ব পছন্দের পোশাকে থাকবেন। যাতে তাঁদের কেউ শনাক্ত না করতে পারেন। ঠাকুর দেখতে বের হওয়া অন্যান্য মহিলাদের মতোই তাঁরা পুজো মণ্ডপের কাছাকাছি বা রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে থাকবেন। প্রত্যেকের কাছেই ব্লু-ট্রুথ ইয়ারফোন থাকবে। কোনও পুজো মণ্ডপে যদি কোনও অপ্রীতিকর আচরণ তাঁরা দেখতে পান, সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা টহলদারি ভ্যানকে খবর দেবেন। ওই টহলদারি ভ্যান সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এছাড়াও শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়েও তাঁরা আর পাঁচজন সাধারণ দর্শনার্থীর মতোই থাকবেন। কিন্তু তাঁদের কাজ হবে মূলত মহিলাদের উপর কটূক্তি বা কোনও অপ্রীতিকর আচরণ হচ্ছে কি না, তা নজর রাখা। পুলিসের কর্তারা বলেছেন, তিনজন বা চারজন কিশোর বা যুবক একটি বাইকে চড়ে ঠাকুর দেখতে বের হয়। অনেক সময় তারা বাইকে যেতে যেতে কিশোর বা যুবতীদের কটূক্তি করে। সেক্ষেত্রেও ওই যুবকদের বাইকের নম্বর যাতে সংশ্লিষ্ট টহলদারি ভ্যানকে দেওয়া যায়, তার নজরদারিও ওই বিশেষ টিমের সদস্যদের দেওয়া হচ্ছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরও সাদা পোশাকের পুলিস পুজোমণ্ডপ বা শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ছিল। কিন্তু, এবার শুধুমাত্র ইভটিজিং রুখতে পুলিস কঠোর পদক্ষেপের রাস্তায় হাঁটতে চলেছে।