সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
অধ্যাপকদের ফাঁকিবাজি রুখতে বায়োমেট্রিকে হাজিরার সিদ্ধান্ত নেয় কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত ২ মে কর্তৃপক্ষ বায়োমেট্রিকের জন্য প্রথম বিজ্ঞপ্তি জারি করে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে কাজ না হওয়ায় একাধিকবার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। গত ২২ শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীরশিক্ষা ও শিক্ষা বিভাগে বায়োমেট্রিক হাজিরার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপাচার্য। পরে সব বিভাগেই বায়োমেট্রিকের মেশিন বসানো হয়। তবে বায়োমেট্রিকে হাজিরা না দিতে চেয়ে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে অন্দোলনে নেমেছেন অধ্যাপক অধ্যাপিকরা। শিক্ষক দিবসের দিন তাঁরা উপাচার্যের ঘরের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করেন। পরে দু’এক দিন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মিছিল করেন। এরই মাঝে উপাচার্য বায়োমেট্রিকে হাজিরা বাধ্যতামূলক বলে একটি নির্দেশিকা জারি করেন। এর পরেই অধ্যাপক অধ্যাপিকরা ‘পেন ডাউন’ অর্থাৎ ক্লাসে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তাঁরা পেন ডাউন আন্দোলন করেছেন। শুক্রবার অধ্যাপকদের সঙ্গে উপাচার্য আলোচনায় বসেন। কিন্তু মাঝপথে আলোচনা ভেস্তে যায়। এরপরেই উপাচার্যের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য বিভাগীয় পদ থেকে অধ্যাপক অধ্যাপিকারা পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। শনিবার বিকেল পর্যন্ত মোট ২১ জন বিভাগীয় প্রধান পদত্যাগ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৩৩ জন বিভাগীয় প্রধান রয়েছেন। একই সঙ্গে প্রশাসনিক বিভিন্ন কমিটিতে থাকা ৫৩ জন পদত্যাগ করেছেন।
সোমবার থেকে অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা ক্লাস নেবেন। উপাচার্যের ঘরের সামনে কোনও বিক্ষোভ অবস্থান হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার্স কাউন্সিলের সভাপতি তারকদাস বসু বলেন, সোমবার আরও পাঁচজন বিভাগীয় প্রধান পদত্যাগ করবেন। সোমবার থেকে আমরা কোনও প্রশাসনিক কাজকর্ম করব না। কিন্তু ক্লাস নেব। এই আন্দোলন চলবে আমাদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শঙ্করকুমার ঘোষ বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে অধ্যাপক অধ্যাপিকারা যেন নিজ দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠন পাঠন চালু থাকুক, শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ থাকুক।