সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
রাস্তায় গেরুয়া বাহিনীর হাতে মার খাওয়ার সময় আক্রান্ত কোনও তৃণমূলের সমর্থককে রক্ষা করতে তিনি প্রয়োজনে খাদ্যমন্ত্রী তথা জোড়াফুল শিবিরের নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরতেও পিছপা হবেন না বলে কিছুদিন আগেই মন্তব্য করেছিলেন তন্ময়বাবু। তা নিয়ে দলের অন্দরে প্রবল বিতর্ক হয়। দলের রাজ্য নেতৃত্ব এনিয়ে তাঁকে সতর্কও করে। সেই রেশ কাটার আগে এবার পুজো উদ্বোধন নিয়ে নয়া বিতর্কে তিনি জড়াতে চলেছেন বলে রাজনৈতিক মহলের অনেকে মনে করছেন। যদিও তন্ময়বাবু বলেন, পুজো মণ্ডপে যাওয়া যাবে অথচ উদ্বোধন করা যাবে না—এমন কোনও কথা দলের গঠনতন্ত্রে বলা নেই। আমরা ধর্মাচরণে বিশ্বাস করি না ঠিকই। তাই বলে ফিতে কেটে বা প্রদীপ জ্বালিয়ে উদ্বোধন করা যাবে না একথা কোথাও বলা হয়নি। ২০১৬ সাল থেকে কোনও না কোনও পুজো উদ্বোধন করছি আমি। এবার গোটা পাঁচেক পুজো কমিটি উদ্বোধনে ডেকেছে আমাকে। আমি সবাইকেই যাব বলেছি। নিজে না করলেও তন্ময়বাবুর অবস্থানে অন্যায় কিছু দেখছেন না দলের কামারহাটির বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায়।
নেতৃত্ব অবশ্য তন্ময়ের অবস্থানকে সেভাবে সমর্থন করছে না। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী তথা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, পুজো প্রাঙ্গণে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার ভালো সুযোগ পাওয়া যায় এই সময়। এজন্য আমরা শারদোৎসবের সময় মণ্ডপে মণ্ডপে যাই ঠিকই। এছাড়াও মার্কসীয় সাহিত্যের স্টল মাধ্যমেও এই কাজ সারা হয় দীর্ঘকাল ধরে। কিন্তু সরাসরি পুজো উদ্বোধনের ব্যাপারে দল কোনও নির্দেশ দেয়নি। অনুষ্ঠানে হাজির থাকলেও উদ্বোধনের কাজ আমি সযত্নে এড়িয়ে চলি। কারণ, আমি মনে করি এলাকায় কোনও বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ এই কাজে আমার থেকে বেশি যোগ্য।