সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
উলুবেড়িয়া শহরের একাধিক পুজো কমিটি এই বছরেও তাদের মণ্ডপ সাজিয়ে তুলেছে বিভিন্ন থিমের আদলে। যেখানে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা থেকে কাল্পনিক জগৎ, মন্দির থেকে আধুনিক সভ্যতা, মানুষের মনের ইচ্ছা থেকে কল্পনালোক সবকিছুই জায়গা করে নিয়েছে। যেমন বাজারপাড়া বিবেকানন্দ স্পোর্টিং অ্যান্ড কালচারাল সেন্টার এবার পুজো মণ্ডপে মানুষের মুক্তি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে তুলে ধরেছে। মহিলা পরিচালিত এই পুজো কমিটির কার্যকরী সভাপতি বন্দনা রায় বলেন, প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই মণ্ডপে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করলেই নিজেদের মনের বাসনার নানা দিক খুঁজে পাওয়ার পাশাপাশি মনুষ্য জীবন থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়টাও হয়তো খুঁজে পেতে পারেন।
অন্যদিকে, নোনা অ্যাথলেটিক ক্লাবের সম্পাদিকা কুহেলি ঘোষ বলেন, কল্পলোকে মাতৃভূমি থিমের মোড়কে সেজে ওঠা মণ্ডপের ভিতরে ঢুকলে দর্শনার্থী এক কল্পনালোকে প্রবেশ করবেন। যেখানে বাংলার বিভিন্ন মনীষীদের জীবনযাত্রার কাহিনি তুলে ধরা হবে। অপরদিকে, নোনা সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির এবারের থিম জীবন জানে গাছের মানে। প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ের এই পুজো কমিটির সম্পাদক মুক্তেশ দে বলেন, পরিবেশ রক্ষায় গাছের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা ছাড়াও আধুনিক সভ্যতার প্রয়োজন হলেও গাছ না কাটার বার্তা তুলে ধরা হবে। রাজ্য সরকারের অন্যতম জল ভরো জল ধরো প্রকল্পকে তুলে ধরেছে ফুলেশ্বরের কোটালঘাটার নবোদয় সংঘ। প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ের এই পুজো কমিটির সম্পাদক তরুণ ঘোষ বলেন, মূলত জল অপচয় রোধের বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি জল অপচয় করলে কী সমস্যা হতে পারে সেটাও তুলে ধরা হবে।
সত্যযুগ থেকে কলিযুগের বিভিন্ন কাহিনি তুলে ধরছে লতিবপুরের মিলন সঙ্ঘ। পুজো কমিটির সম্পাদক সৈকত দাস জানান, প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ের এই পুজো অন্যতম আকর্ষণ জার্মান সিলভারের প্রতিমা। ত্রিপুরার ঊনকোটি মন্দিরের আদলে মণ্ডপ সাজিয়ে তুলছে যদুরবেড়িয়া কলতলা পুজো কমিটি। উদোক্তাদের মতে, মণ্ডপ ছাড়াও প্রতিমায় থাকছে অভিনবত্বের ছোঁওয়া।