পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস কমিশনার বলেন, ইতিমধ্যেই একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মূল অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা সফিউল হক খান বলেন, আমার মেয়ের চাকরি ক্ষেত্রে অয়ন শীলের একটি ভূমিকা ছিল। সেইটি জানাজানি হতেই স্থানীয়রা আমাকে ওর সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতে বলে। তারপরেই নানা দপ্তরের কাজের নাম করে আমি প্রায় ৬৭ লক্ষ টাকা অয়ন শীলকে তুলে দিই। কিন্তু কারও কাজও হয়নি। টাকাও ফেরত পাওয়া যায়নি। আমাকে টাকার জন্যে পাড়াছাড়া হতে হয়েছে। অন্যদিকে টাকা নিয়ে চাপাচাপি শুরু করতেই প্রথমে নেতা-মন্ত্রী এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে হুমকি দেওয়ার পরে ও নিজেই পালিয়ে গিয়েছে। আমরা এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছি। সোম মুখোপাধ্যায় নামে আরেক প্রতারিত বলেন, আমাদের বিকাশ ভবনে নিয়ে গিয়ে কাউন্সেলিং করানো হয়েছিল। একাধিক নেতা-মন্ত্রীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার ভিডিও অয়ন শীল দেখিয়েছিল। তারপরে কালীঘাটের একটি ক্লাবের কর্মকর্তা যিনি ‘মামা’ নামে পরিচিত, তাঁর ড্রইং রুমে বসে ইন্টারভিউ করানো হয়। পরে যখন চাকরি হয়নি তখন মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে লেখা একটি চিঠি দেখিয়ে আমাদের ফের প্রতারিত করার চেষ্টা করা হয়। প্রায় ১৯৭ কোটি টাকা তুলে অয়ন এখন পলাতক।
স্থানীয় ও প্রতারিতদের সূত্রে জানা গিয়েছে, অয়ন শীলের বাড়ি চুঁচুড়ার যুগী দাস পাড়ায়। গত প্রায় ২০১৫ সাল থেকে প্রতারণার বিরাট চক্র ওই যুবক ফেঁদে বসেছিল। বাস্তবে বলাগড়ের ডুমুরদহ পঞ্চায়েতের কর্মী হলেও তিনটি কোম্পানি তৈরি করে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা শুরু করেছিল ওই যুবক। অভিযোগ, রাজ্য সরকারের প্রাইমারি চাকরি থেকে গ্রুপ ডি, এমনকী রেলে পর্যন্ত চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় গোটা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে টাকা তোলা হয়েছিল। দিল্লির ফ্ল্যাট থেকে চুঁচুড়ার পিপুলপাতির কাছে অফিসও করেছিল। চলতি বছরের শুরুতে প্রতারিতরা টাকা চাইতে শুরু করলে কখনও হুমকি, কখনও নেতামন্ত্রীর চিঠি বা ভিডিও দেখিয়ে তাদের আটকানোর চেষ্টা করে ওই যুবক। বিষয়টি বুঝতে সম্প্রতি প্রতারিতরা চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করতেই গা ঢাকা দেয় সে। সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।