বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বারাকপুর শহরের অন্যতম পুজো রয়্যাল পার্ক। ১৯তম বর্ষে ২২ লক্ষ টাকা বাজেটে এই পুজো কমিটির ট্যাগ লাইন ‘সবই তো এখানে, ওখানে পুজো হবে কী করে?’ অর্থাৎ দশকর্মা ভাণ্ডারের জিনিসপত্র দিয়ে সাজানো হচ্ছে মণ্ডপ। দুর্গাপুজোর জন্য যা যা উপকরণ লাগে, তা সবই এই পুজো মণ্ডপে থাকবে! চাঁদমালা, শাঁখ, নারকেল, বাতাসা, ধূপ, প্রদীপ, তেল, সিঁদুর সবই থাকবে মণ্ডপের গায়ে। রয়্যাল পার্ক পুজো কমিটির সভাপতি ইন্দুভূষণ দেবনাথ বলেন, প্রতি বছর আমরা নতুন নতুন বিষয় তুলে ধরি। এবার দশকর্মা ভাণ্ডারকে তুলে ধরছি। ডিজিটালের যুগে নতুন প্রজন্ম পুরনো ঐতিহ্য, রীতিনীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। তাই তাদের পরিচিত করতেই এই থিমের ভাবনা।
পুজোয় এবার বারাকপুরে উঠে আসছে লন্ডনের টেমস নদী। মধ্য নোনা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির থিম এবার এটাই। টেমস নদীর পাশে চারটে টাওয়ার গড়ে উঠবে। নদীতে থাকবে জাহাজ। সেই জাহাজে থাকবেন দেবী দুর্গা। টেমস নদীর জলের রং নীল। সেই নীল জলেরও দেখা মিলবে। এই পুজোর কর্তা বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস। তিনি বলেন, এবার ৪৬ তম বর্ষে আমাদের পুজো পদার্পণ করল। প্রায় ২০ লক্ষ টাকার বাজেটে এবার আমরা টেমস নদীকে তুলে ধরছি।
রায়বাগান বিবেকানন্দ সঙ্ঘ দুর্গোৎসব কমিটির পুজো এবারও আকর্ষণীয়। এবার তাদের থিম রিপু দমন। মণ্ডপে ছবির মাধ্যমে দেখানো হবে ষড় রিপুকে কীভাবে দমন করা যায়। কাঠের মণ্ডপে থাকছে বর্ণময় শোলার কাজ। পুজো কমিটির প্রধান কর্তা অরূপ মিত্র বলেন, ৬৯তম বর্ষে এবার আমাদের বাজেট ১১ লক্ষ টাকা। মানুষ রিপু দমন করতে না পারায় বিপথে পরিচালিত হয়। তাই এবার এটাই আমাদের থিম।
বারাকপুর শহরের অন্যতম প্রাচীন পুজো শিবতলা বারোয়ারি। এই পুজো এবার ১০৬ বছরে পদার্পণ করল। গত তিন মাস ধরে মণ্ডপসজ্জার কাজ চলছে। এবার তাদের থিম প্যারিসের অপেরা হাউস। ৫০ ফুট উচ্চতা ও ৭০ ফুট চওড়া বিশালাকার মণ্ডপ গড়ে উঠছে বাঁশ, প্লাই, বেত দিয়ে। মণ্ডপের ভিতরে থাকবে অসংখ্য ঝাড়বাতি। শিবতলা বারোয়ারি পুজো কমিটির অন্যতম কর্তা রবীন দত্ত বলেন, এবার আমাদের বাজেট ১৫ লক্ষ টাকা। এবার দুটি প্রতিমা থাকবে। একটি প্রতিষ্ঠিত ঠাকুর দালানে। যেখানে দেবীর পুজো হবে। আরেকটি থাকবে মণ্ডপে। প্রতি বছরের মতো এবারেও দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে আমাদের এই মণ্ডপ।