মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
এদিন পুরসভায় পুরমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দপ্তরের অফিসাররা, কেএমডিএ এবং পোর্ট ট্রাস্টের অফিসাররা বৈঠকে বসেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ১৫ মিটার যে জেটি তৈরি করা হচ্ছিল, তা কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হবে। পোর্ট ট্রাস্ট এই ব্যাপারে নৈতিকভাবে রাজি হয়েছে বলে পুরসভার কর্তারা দাবি করেছেন। বৈঠকের পর পুরমন্ত্রী বলেছেন, আমরা সেখানে জেটি করব ও জল তুলব বলে পোর্ট ট্রাস্টকে টাকা জমা দিয়েছি। কিন্তু, রেল বা পোর্ট ট্রাস্টের ক্ষেত্রে দেখা যায়, অনুমোদন পেতে অনেক সময় লেগে যায়। ততদিন প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখা হলে মানুষ ভোগান্তিতে পড়বেন। এদিন পোর্ট ট্রাস্টের অফিসারদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা তাঁদের বৈঠকে এই অনুমোদন দেবেন বলে ঠিক হয়েছে।
এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, পদ্মপুকুরে জল পরিস্রুত করার প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। নাজিরগঞ্জ থেকে জল তুলে এখানে না আনা গেলে প্রকল্প চালু করা যাবে না। আগামী জানুয়ারির মধ্যেই সমস্ত প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তাতে আগামী গ্রীষ্মের আগে শহরের মানুষকে আমরা পর্যাপ্ত পানীয় জল দিতে পারব।
বিগত বোর্ডের সময়ই পদ্মপুকুরে ২০ মিলিয়ন গ্যালন জলের একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। সেই প্রকল্পের কাজও চলছিল। তখন বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, নাজিরগঞ্জে গঙ্গা থেকে জল তুলে তা পদ্মপুকুরে পরিস্রুত করে শহরে সরবরাহ করা হবে। তার জন্য পুরসভা পোর্ট ট্রাস্টের কাছে অনুমোদনও নেয়। কিন্তু, জল তোলার জন্য একটি ১৫ মিটার লম্বা জেটি পুরসভা তৈরি করে। তা নিয়েই পোর্ট ট্রাস্ট আপত্তি জানায়। অর্ধেকের বেশি কাজ হয়ে ওই জেটি তৈরি বন্ধ রাখে পুরসভা। বিষয়টি পুর দপ্তরে জানানো হয়। এরপরই পোর্ট ট্রাস্টের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেন পুরমন্ত্রী। সেইমতো মঙ্গলবার তিনি নাজিরগঞ্জে ও পদ্মপুকুর জল প্রকল্প ঘুরে দেখেন। এদিন পদ্মপুকুর জল প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারদের পুরমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কাজে গতি আনতে হবে। জানুয়ারির মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে। সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, পদ্মপুকুর জল প্রকল্পের কাজ নিয়ে কিছু অসংগতির অভিযোগ আমি পেয়েছিলাম। তারপরই পুরমন্ত্রীকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছিলাম।